বিধানসভা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েকটা মাস। সেকথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলি জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচির সূচনা, একের পর এক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে এবার বিজেপির তরফে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের হাতে। বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। ভূপেন্দ্র যাদবের সহকারী পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে। বিজেপির তরফে এই ঘোষণার পরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনকে যে বিজেপি বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে তা এই ঘোষণার পর থেকে স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রাজস্থানের নেতা তথা কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে ২৬ এর নির্বাচনের জন্য প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপির তরফে। ভূপেন্দ্র যাদব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ। এর আগেও একাধিক রাজ্যের পর্যবেক্ষক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ভূপেন্দ্রর সহকারী পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে। বাংলায় নির্বাচনে বিজেপিকে সঠিক দিশা দেখানোর জন্য এই দুই নেতার উপরেই ভরসা করেছে গেরুয়া শিবির।
বাংলায় দীর্ঘদিন ধরে সরকার গঠন করতে চেয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০১৭ সালে সভাপতি থাকার সময় তিনি বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও ওড়িশায় সরকার গঠন করা হবে। সেইমতো ২০২১ এর নির্বাচনে জোরকদমে প্রস্তুতি নিয়ে দাঁড়ালেও হয়নি নির্বাচনের কাঙ্খিত ফল। এরপরে আবারও লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ায় বিজেপি। সেবারেও আশানুরূপ ফল হয়নি। সেকারণে এবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে চাইছে বিজেপি শিবির। সম্প্রতি বাংলায় বিজেপির সভাপতি পদে বসানো হয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে। তিনি বঙ্গে দলের সংগঠনে পরিবর্তন এনেছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। অতি হিন্দুত্ব সরিয়ে রেখে খানিকটা নরমপন্থী হয়ে দলের হয়ে কাজ করছেন তিনি।
অন্যদিকে, বিজেপির এই পর্যবেক্ষক ঘোষণার বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ করছে তৃণমূল শিবির। শাসকদলের বক্তব্য, বিপ্লব কুমার দেবকে ত্রিপুরায় ব্যর্থ বলে ভেবে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছে। ত্রিপুরা থেকে সরিয়ে তাঁকে আবার বঙ্গের দায়িত্বে রাখা হচ্ছে। এখানেই বিজেপির সাংগঠনিক ব্যর্থতা বলে মনে করেছে শাসক শিবির।
Advertisement