কেন্দ্রের দেওয়া সরকারি চাল ফেরত পাঠালো অনুব্রতর জেলা

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পাঠানো সরকারি চাল ফেরত পাঠাল অনুব্রতর জেলা বীরভূম।

Written by SNS Birbhum | April 26, 2020 5:51 pm

অনুব্রত মণ্ডল (File Photo: Indrajit Roy/IANS)

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পাঠানো সরকারি চাল ফেরত পাঠাল অনুব্রতর জেলা বীরভূম। নিম্নমানের পুরনো চাল দেওয়ার অভিযোগে শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

এদিনর সাংবাদিক বৈঠকে বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর রানা সিংহকে সঙ্গে নিয়ে অনুব্রত সাংবাদিক বৈঠক করেন। বৈঠকের শুরুতেই তিনি বিজেপির রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে রেশন সামগ্রী নিয়ে অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেন। শুধু তাই নয়, ক্ষুব্ধ অনুব্রত মণ্ডল বিরোধী দলের রাজ্য নেতা রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি ভাষা সংযত করতেও ভুলে যান।

এদিকে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির করা নানা অভিযোগ নস্যাৎ করে অনুব্রত মণ্ডল সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিলি করা রেশনের চাল দু’টি থালার মধ্যে নিয়ে তা সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।

অনুব্রত দাবি করেন, রাজ্য সরকারের যে চাল বিলি করা হয়েছে, তাতে না আছে কোনও বালি, খুদ বা নোংরা। রাজ্য সরকারের তরফে মানুষের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং নতুন চাল বিলি করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, এফসিআই-এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারে যে চাল ছত্তিশগড়ের, বিলাসপুর ও রায়পুর থেকে আনা হয়েছে, সেই চাল ২০১৭-১৮ সালের পুরনো। এই চাল নাকি মানুষের খাবারযোগ্য নয়।

বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর তথা তৃণমূল নেতা রানা সিংহ এফসিআইয়ের কাছে এই চাল নিম্নমানের বলে দাবি করে অভিযোগ জানান। সেই সঙ্গে জেলাশাসকের সহায়তায় রানা সিংহ এই চাল সাধারণ মানুষের মধ্যে বণ্টন করার ব্যাপারে বাধা দেন। রানা সিংহ এফসিআই-এর কাছে দাবি করেন নতুন এবং ভালো চাল এনে তবে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে দিতে হবে।

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘রাহুল সিনহা বাঁদরের মতো দাঁত খিচিয়ে দাবি করেন, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে নাকি পদত্যাগ করতে হবে। রেশনের দোকানে নাকি ঝামেলা হচ্ছে বলে তারা প্রায়ই অভিযোগ করে। তাই আমরা জানিয়ে দিতে চাই শুধু দাঁত খিচিয়ে অভিযোগ করলেই হবে না। মানুষ কি গরু নাকি? যে চাল কেন্দ্র পাঠিয়েছে তা মানুষের খাবারযোগ্য নয়। আর ডাল দেওয়ার কথা ছিল এক কেজি করে। সেই ডাল কোথায় গেল?

তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার যে চাল বিলি করেছে, তা একদম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, ঝরঝরে। এই চাল মানুষের খাওয়ার যোগ্য। ওরা কীভাবে দাবি করে খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। আমি দাবি করতে চাই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।

এদিনের বৈঠকে অনুব্রত দাবি করেন, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কেন্দ্র চাল পাঠালে জেলার প্রশাসনের তরফে দু’জন আধিকারিক এফসিআই-এর কাছে হাজির থাকবেন। সেই আধিকারিকরা চালের গুণমান খতিয়ে দেখার পরই চাল বণ্টন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। তা না হলে কেন্দ্রীয় সরকারের এই চাল কেউ খাবে না।