দলের একের পর এক নেতাদের আর্থিক কেলেঙ্কারি ও গ্রেফতারিতে তৃণমূলের অবস্থা টলমল। ইতিমধ্যেই জেলে আছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
দিন কয়েক আগেই পার্থকে কোর্টে তোলার তার দিকে সময় ধেয়ে আসে জুতো।
Advertisement
এবার পালা অনুব্রত মণ্ডলের। না তাকে জুতো সহ্য করতে হয়নি। তার দিকে জুতো নয়, ধেয়ে এসেছে ‘গোরু চোর’ উপমা।
Advertisement
এসএসকেএমে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যখন বেরিয়ে আবার গাড়িতে ওঠেন, তখনই তাঁকে উদ্দেশ করে শোনা যায়, ‘গোরু চোর-গোরু চোর’ চিৎকার।
এদিন অনুব্রতকে দেখেই ‘অনুব্রত মণ্ডল গোরু চোর’ চিৎকার করেন নাসির ওরফে বাপ্পা নামে এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, হাওড়ায় বাড়ি নাসিরের।
নাসির ‘গোরু চোর ,গোরু চোর’ বলে চিৎকার করতেই তাঁকে ঘিরে ধরে মিডিয়া। কেন তিনি অনুব্রত মণ্ডলের উদ্দেশে ‘গোরু চোর’ চিৎকার করলেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে নাসির ওরফে বাপ্পার স্পষ্ট জবাব, ‘গ্রামে কোনও গোরুচোর ধরলে, পঞ্চায়েত প্রধান বা সদস্যরা যেভাবে বিচার করে, তাকে ধরে গাছের গোড়ায় বাঁধে কিংবা লাঠি দিয়ে মারে! ওনাকেও এরকম করা উচিত।
এরকম করলেই বুঝতে পারবে, আমি কতটা গোরুচোর! কীভাবে গোরু চুরি করেছি। জনসাধারণের টাকা নিয়ে… সবাই চোর।’এখানেই শাস্তি নয়, রীতিমতো শাক্তির নিদানও বাতলে দেন নাসির।
বলেন, ‘ধরতে পারলে জনসাধারণের যেরকম বিচার হয়, ন্যাড়া করে ছেড়ে দেওয়া হয়, লাঠি দিয়ে মারা হয়, সেই বিচারটাই ওনাদের চাই। তাহলেই বুঝবে…।’
Advertisement



