জটিল রোগে আক্রান্ত ছোট্ট কৃতি। তার ঠিকানা হল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’। ডায়মন্ড হারবারের দু’বছর বয়সি সেই শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ। দুষ্প্রাপ্য ইঞ্জেকশনের ব্যবস্থাও করে দিলেন তিনি।
অভিষেকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, শিশুটির নাম কৃতি মান্না। তার বাবা-মা তাকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুরের পানাকুয়া গ্রামে আয়োজিত সেবাশ্রয় শিবিরে এসেছিলেন। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, ওই শিশু জটিল এবং গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। উল্লেখ্য, অভিষেক সেই সময়ে ওই শিবিরেই উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজে শিশুটিকে দেখেন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় সাহায্য করার আশ্বাস দেন তার পরিবারকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বিশেষ যত্ন প্রয়োজন ওই শিশুর। তাকে দিতে হবে এমন একটি বিশেষ ইঞ্জেকশন, কলকাতায় বা রাজ্যের অন্য হাসপাতালে যা পাওয়া যায় না। কেবল দিল্লি এইমসে ওই ইঞ্জেকশনের সুবিধা রয়েছে। সেবাশ্রয় শিবিরের স্বেচ্ছাসেবক এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে কলকাতাতেই ওই শিশুর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার উদ্যোগী সাংসদ। ইঞ্জেকশনগুলিও মিলবে কলকাতাতেই। ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর শিশুটির প্ল্যাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন। একরত্তিকে কোলে তুলে নিয়ে অভিষেক জানিয়েছেন, সেই চিকিৎসাতেও তিনি সাহায্য করবেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিষ্ণুপুরের পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এবং দৌলতপুরের যুব সংঘ মাঠে আয়োজিত সেবাশ্রয় স্বাস্থ্য শিবির পরিদর্শন করেন অভিষেক। খতিয়ে দেখেন শিবিরের সমস্ত আয়োজন। চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আসা মানুষের স্বাস্থ্যের খোঁজখবরও নেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, গত ১৮ জানুয়ারি অভিষেকের উদ্যোগেই নয় বছরের শিশু আলতাফ হোসেন ঘরামির অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে। শুক্রবার ওই শিশুকেও দেখতে যান অভিষেক। শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে অভিষেক পুনরায় আশ্বস্ত করলেন তার অভিভাবককেও। সেই সঙ্গে এদিন স্বাস্থ্য শিবির পরিদর্শনে এসেই অভিষেক ব্যক্তিগতভাবে এক প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গেও আলাপচারিতা করেন এবং তাঁর স্বাস্থ্য ও ভালো-মন্দ খোঁজ নেন।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি থেকে নিজ লোকসভা কেন্দ্রে বিশেষ স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করেছেন অভিষেক। বিধানসভা কেন্দ্র ধরে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন সাংসদ। এই প্রকল্প সূচনার ২৩দিনে সাড়ে চার লক্ষের অধিক রোগী সেবাশ্রয় থেকে উপকৃত হয়েছেন। অভিষেকের ভাষায়, ‘সেবাশ্রয় নতুন যুগে স্বাস্থ্যসেবার মডেল তৈরি করছে। আমরা এমন এক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি যেখানে বৈষম্যহীন স্বাস্থ্যসেবা থাকবে সবার জন্য।’