• facebook
  • twitter
Saturday, 2 August, 2025

মহরমে শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মমতা ও অভিষেক

রবিবার ছিল মহরম। মুসলিম সম্প্রদায়ের এই পবিত্র উৎসবে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্টো রথযাত্রার পরের দিনই অর্থাৎ রবিবার ছিল মহরম। মুসলিম সম্প্রদায়ের এই পবিত্র উৎসবে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সকলকে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মহরম উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর একেবারে সংক্ষিপ্ত বার্তা।

নিজ এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘পবিত্র মহরমে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখুন।’ বার্তার মধ্য দিয়েই মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় উৎসব পালনে কোনও বাধা নেই তবে সেটি সর্বদাই শান্তিপূর্ণভাবে। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘পবিত্র মহরমে আসুন সকলে মিলে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হই এবং শান্তি সম্প্রীতি বজায় রেখে সুন্দর জীবনযাপন করি।’ সুতরাং, তিনিও যে নিভৃতে সৌভ্রাতৃবোধ এবং সম্প্রীতিকেই জোর দিতে চেয়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলার একাধিক প্রান্তে সাম্প্রদায়িক হিংসার ছবি ধরা পড়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য পুলিশ পরিস্থিতিকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেকের শান্তির বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

উল্লেখ্য, মহরম মিটতেই আগামী ১০ জুলাই থেকে শ্রাবণী মেলা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও সুষ্ঠুভাবে উৎসব পরিচালনা করতে বুধবার নবান্নে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টোরথ থেকে শুরু করে মহরম ও শ্রাবণী মেলা সবকিছুর জন্যই গুরুত্ব সহকারে সমস্ত ব্যবস্থাপনার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ কুমার পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার-সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। এছাড়াও ছিলেন একাধিক দফতরের মন্ত্রী ও সচিবরা। প্রসঙ্গত, মহরম উপলক্ষে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ এবং প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পবিত্র মহরমে রাস্তায় ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষ তাজিয়া বের করেন। সুষ্ঠুভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে তাঁদের ধর্মীয় কার্যকলাপ সম্পন্ন করতে পারেন, তার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।