লােকসভা নির্বাচনের পর সারদা, রােজভ্যালি সহ একাধিক আর্থিক প্রতারণার কাণ্ডে ফের নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এবার ইডির নজরে এক বিনােদনমূলক টেলিভিশন চ্যানেলের কর্তা।
সূত্রের খবর, রােজভ্যালি প্রতারণা কাণ্ডের মূল পাণ্ডা গৌতম কুণ্ডুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রুপল কবিরাজ নামে ওই টেলিভিশন চ্যানেলের কর্তার নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এমনকি রােজভ্যালি কাণ্ডে তাঁর যুক্ত থাকার ব্যাপারেও প্রাথমিক সূত্র খুঁজে পেয়েছেন ইডি কর্তারা। আর এরপর রােজভ্যালি কাণ্ডে তদন্তে গুটিয়ে নিয়ে আসা জালে অভিযুক্ত টেলিভিশন চ্যানেল কর্তাকে জড়িয়ে ফেলতে চাইছে ইডি।
Advertisement
একই সঙ্গে আরও দুই আইপিএস অফিসারের উপর নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। সব মিলিয়ে লােকসভা নির্বাচনের পর দ্রুত এই আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত শেষ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা বলে সূত্রের দাবি। কিন্তু টেলিভিশন চ্যানেলের এই প্রভাবশালী কর্তা কিভাবে রােজভ্যালি কাণ্ডে যুক্ত ছিলেন? এ বিষয়ে ইডি সূত্রের খবর, মূলত ব্যবসায়িক কারণেই রােজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডু সঙ্গে যােগাযােগ ছিল রুপল কবিরাজের।
Advertisement
এদিকে রােজভ্যালি আর্থিক প্রতারণার কাণ্ডে পর্দা ফাস হওয়ার পর গৌতম কুণ্ডু গ্রেফতারের দাবি যখন জোরালাে হয়ে ওঠে তখনই রােজভ্যালি কর্তা রুপলবাবুর কাছে যান এই আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে। অভিযােগ, এ সময় ওই প্রভাবশালী টেলিভিশন চ্যানেল কর্তা গৌতম কুণ্ডুকে এই বলে আশ্বাস দেন যে, তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ম্যানেজ করে নেবেন। তার বিনিময়ে তিনি রােজভ্যালি কর্তার থেকে দু’কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু এরপরও গ্রেফতারি এড়াতে পারেননি গৌতম কুণ্ডু।
ফলে সম্প্রতিকালে তাকে জেরা করে ইডি আধিকারিকরা এই প্রতারকের সন্ধান পান। পাশাপাশি, গৌতম কুণ্ডু দেওয়া তথ্য কতটা সত্য তা যাচাই করতে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রুপল কবিরাজকে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে আরও জানা গিয়েছে কেবলমাত্র রুপল কবিরাজই নন এবার ইডির তদন্তের আতস কাচের তলায় রয়েছে বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসার, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতানেত্রী সহ একাধিক পুলিশ কর্তা। ফলে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে তদন্তের গতি বাড়াচ্ছে তা একপ্রকার স্পষ্ট।
Advertisement



