কুম্ভমেলায় যাওয়ার পথে মৃত্যু হল রাজ্যের তিন পুণ্যার্থীর। পুরুলিয়ার টামনা থানা এলাকার চাকলতোড় মোড় থেকে পুণ্যার্থীদের নিয়ে রওনা হয়েছিল একটি বাস। উদ্দেশ্য, প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় যোগ দেওয়া। ১৪৪ বছর পর এসেছে এমন পুণ্য যোগ। ফলে কেউই সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন। কিন্তু সেই প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় আর যাওয়া হল না পুরুলিয়ার এই পুণ্যার্থীদের। মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রাজ্যের ৩ পুণ্যার্থীর।
সারা দেশের পাশাপাশি বাংলা থেকেও পুণ্য অর্জন করতে কুম্ভের উদ্দেশে ছুটছেন অসংখ্য ভক্ত। বাংলার নানা প্রান্ত থেকে গাড়ি, বাস, টেম্পো ভাড়া করে হাজার হাজার মানুষ এখন কুম্ভমুখী। ৯ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার টামনা থানা এলাকার চাকলতোড় মোড় থেকে পুণ্যার্থীদের নিয়ে একটি রিজার্ভ বাস রওনা দেয় প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলার উদ্দেশ্যে। ওই বাসটিতে গোপলাডি গ্রামের ১৩ জন বাসিন্দা ছিলেন বলে খবর। মঙ্গলবার ভোরবেলায় প্রয়াগরাজের উতারামপুর থানা এলাকার ভগবতী পেট্রল পাম্পের কাছে বাসটি দাঁড়ায়। সেখানে শৌচকর্ম করার জন্য কয়েকজন বাস থেকে নেমেছিলেন। সেখানেই তাঁদের একটি গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে।
গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গোপলাডি গ্রামের তিনজনের। মৃত্যু হয় ৬৮ বছর বয়সের কুন্তী মাহাতো, ৪৭ বছর বয়সের আল্পনা মাহাতো, ও ৪৯ বছর বয়সের জাগুঁড়ি মাহাতোর। এর মধ্যে কুন্তী ও আল্পনা সম্পর্কে শাশুড়ি ও বৌমা বলে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছাতেই গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।