নন্দীগ্রাম, ২৩ ফেব্রুয়ারি: নন্দীগ্রামে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ। আক্রান্ত ওই তৃণমূল নেতার নাম রাখোহরি ঘড়া। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতে ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলেমারা গ্রামে তাঁকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঘিরে ধরে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা তাঁর মোটর বাইক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। বেধড়ক মারধর করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। গতকাল রাতেই তাঁকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ভর্তি করা হয় নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তিনি এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। কয়েকমাস আগেই তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন রাখোহরি। তাঁর স্ত্রী মানসী ঘড়া গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়ান। কিন্তু জয়লাভ করতে পারেননি। বর্তমানে তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি রাখহরি। তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওই নেতার ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। মহম্মদপুর বাজারে তাঁর একটি গ্রিলের দোকান রয়েছে। গতকাল দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে অতর্কিত হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মহম্মদপুর বাজার লাগোয়া ব্রিজের উপর এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মারধর ও ভাঙচুর হওয়ার পর কোনওক্রমে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান রাখহরি। রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল তাঁর ভাঙাচোরা বাইকটি।
Advertisement
এব্যাপারে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব জানিয়েছে, বিজেপি একজন কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়া ব্যক্তিকেও ছাড়ছে না। আমরা এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল। তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগসূত্র নেই। পুরনো শত্রুতার জেরে কয়েকজন ব্যক্তি রাখোহরিকে মারধর করেছে বলে শুনেছি।
Advertisement
এবিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, বিজেপি ভয় পেয়ে গুন্ডামি চালাচ্ছে। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘নন্দীগ্রামে রাতে বিজেপির ওপর হামলা। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের অঞ্চলের সহ-সভাপতি রাখহরি ঘড়ার উপর আচমকা আক্রমণ। তাঁর বাহনটিও ভাঙচুর করা হয়েছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত।’
Advertisement



