‘তোমরা গেইলে কি আসিবেন মাহুত বন্ধু রে’, ভাওইয়া গেয়ে নমিনেশন জমা তৃণমূল প্রার্থীর

Written by SNS March 23, 2024 2:34 pm

অর্ণব সাহা, জলপাইগুড়ি, ২২ মার্চ— জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায় শুক্রবার মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন৷ পায়ে হেঁটে জেলাশাসকের দফতরে নমিনেশন জমা দিতে যাওয়ার সময় কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ দিতে গাইলেন ভাওয়াইয়া গান৷ গাইলেন ‘তোমরা গেইলে কি আসিবেন মাহুত বন্ধু রে’৷ গান শেষে বেশ মজা করে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি-ই মাহুত বন্ধু৷ ভোটাররা ভাবতে পারেন জেতার পর হয়ত অন্যদের মত আমার আর দেখা পাবেন না৷ তাদের আশ্বস্ত করছি আমি ছিলাম, আছি এবং ভোটের পরেও থাকব৷’

শুক্রবার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বের হন জলপাইগুডি় লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা ধূপগুড়ির বিধায়ক অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায়৷ এদিন সকালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায় তাঁর গ্রামের বাডি়তে গিয়ে তাঁর মায়ের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন৷ এরপর বাডি় থেকে জলপাইগুডি়তে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে আসেন৷ সেখান থেকে জেলাশাসকের কার্যালয়ে যান তিনি৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মহুয়া গোপ, শিলিগুডি় কর্পোরেশনের মেয়র গৌতম দেব, রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় সহ অনেকে৷

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী৷’

পেশায় কলেজের অধ্যাপক নির্মলবাবু গান লেখেন, গান বাঁধেনও৷ নিজে ভাওয়াইয়া গানের শিল্পী৷ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে প্রচারের সময় শত ব্যস্ততার ফাঁকেও লেখালেখি বা গানের চর্চা চালিয়ে গিয়েছেন৷ এবারের লোকসভা ভোটের প্রচারের ফাঁকেও দোতারা নিয়ে গান বেঁধেছেন কয়েকটি৷ রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়কে সঙ্গে নিয়ে প্রচারের মাঝেই দলীয় কর্মীদের আবদারে দোতারা বাজিয়ে গান ধরছেন বিভিন্ন জায়গায়৷

প্রার্থীর এই দোতারা বাজিয়ে গান প্রসঙ্গেই জলপাইগুড়ি জেলা শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি অঞ্জন দাস বলেন, ‘প্রার্থী দোতারা বাজান, উনি একজন শিল্পী মানুষ৷ একজন মানুষ যিনি একদিকে অধ্যাপক অন্যদিকে শিল্পী৷ অবশ্যই জলপাইগুড়ির কাছে বড় প্রাপ্তি৷ একজন শিল্পী জলপাইগুড়ির সাংসদ হতে চলেছেন৷ সব সময় রাজনৈতিক বক্তব্য শুনতে ভালো লাগে না৷ প্রচারে ক্লান্ত হয়ে দলীয় কর্মীরা ফিরছেন৷ তাদের উনি গান শোনাচ্ছেন৷ তাতে দলীয় কর্মীরা যেমন উৎসাহিত হচ্ছেন তেমনি সাধারণ মানুষেরও ভালো লাগছে৷’