আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। রাজ্য সরকার দাবি না মানায় শনিবার রাত থেকে ৬ চিকিৎসক আমরণ অনশন শুরু করেছেন। এরই মধ্যে খোদ এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। বীরভূমের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই হাসপাতালেরই নার্স।
রামপুরহাট মহকুমার মুরারই ব্লকের চাতরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনার কথা সামনে আসতেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। এদিকে অভিযোগ দায়ের হতেই উধাও হয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।
Advertisement
বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নার্সের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর খোঁজে আপাতত তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
Advertisement
অভিযুক্ত চিকিৎসক পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাসিন্দা। বছর তিনেক আগে তিনি রামপুরহাট মহকুমার মুরারই ব্লকের চাতরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। তবে ওই নার্স দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছেন। ওই নার্সের অভিযোগ, তাঁকে দীর্ঘদিন ধরেই হেনস্থা করছে ওই চিকিৎসক। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরেই তাঁকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন ওই চিকিৎসক। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এদিকে ডাক্তার ও নার্স দু’জনেরই বিবাহিত হলেও তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, এমনটাই জানা গিয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে। মুরারই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিজিৎ মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নার্স। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে-ও সঙ্গে ছিলেন। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গোবিন্দ শিকদারের উপস্থিতিতে নার্সের বয়ান রেকর্ড করা হয়।
মুরারইয়ের বিধায়ক তথা চিকিৎসক মোশারফ হোসেন বলেন, অত্যন্ত অনভিপ্রেত ঘটনা। একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত অবস্থায় একজন সহকর্মীর হাতে ধর্ষিতা হবেন এক মহিলা, তা মেনে নেওয়া যায় না। প্রাথমিক অভিযোগ এসেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Advertisement



