প্রয়াত সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির দেহ শুক্রবার নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রয়াত নেতার বাড়িতে। শনিবার তাঁর দেহ দান করা হবে দিল্লি এইমস-এ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রয়াত নেতা সীতারাম ইয়েচুরির দেহ দিল্লির এইমস থেকে নিয়ে যাওয়া হয় জেএনইউ-তে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান ছাত্র, শিক্ষক এবং অন্যান্য অনেকেই। এরপর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দিল্লির বসন্তকুঞ্জের বাড়িতে।
সিপিএসি সূত্রে খবর, প্রয়াত নেতার শেষ ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে আজ তাঁর দেহ তুলে দেওয়া হবে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস-এ। তার আগে প্রয়াত নেতার দেহ শায়িত থাকবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় দপ্তর এ কে গোপালন ভবনে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন তাঁর অসংখ্য অনুগামী, দলের নেতৃবর্গ এবং সাধারণ মানুষ। এরপর তাঁর দেহ এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হবে।
রাজ্যের তরফে সীতারাম ইয়েচুরিরই শেষ যাত্রায় যোগ দিতে যাওয়ার কথা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, এবং সিপিএসি পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোমের। সিপিএম সূত্রে খবর, শুক্রবার তাঁরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন।
দিল্লির এইমস-এ বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত ১৯ আগস্ট ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সংক্রমণ গুরুতর হওয়ায় দিল্লির এইমস-এ প্রথম থেকেই আইসিইউয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ৯ সেপ্টেম্বর রাত থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। শেষ কয়েকদিন তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টে ০৫ মিনিটে তাঁর জীবনাবসান হয়।
Advertisement
দলীয় সূত্রে খবর, অতিরিক্ত ধূমপানের কারণেই সীতারাম ইয়েচুরির নিউমোনিয়া এবং তা থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সেই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। এর আগে গত ৮ আগস্ট দিল্লিতে ইয়েচুরির চোখে ছানির অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ওই দিনই প্রয়াত হন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু শারীরিক কারণেই ৯ আগস্ট কলকাতায় বুদ্ধবাবুর শেষযাত্রায় উপস্থিত থাকতে পারেননি ইয়েচুরি। শারীরিক কারণেই উপস্থিত থাকতে পারেননি ২২ আগস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বুদ্ধবাবুর স্মরণসভাতেও ।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়েও ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএসি নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং নিহত তরুণী চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছিলেন তিনি ।