মাঙ্কি পক্স সন্দেহে দেশের এক যুবককে আইসোলেশনে রাখা হল। আপাতত একটি হাসপাতালে ডাক্তারদের কড়া নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই চিন্তার কিছু নেই। একজন যুবককে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। মাঙ্কি পক্স সংক্রমিত দেশ থেকে তিনি সম্প্রতি ভারতে ফিরেছেন। তাঁকে মাঙ্কি পক্সের সন্দেহভাজন কেস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
Advertisement
মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ওই যুবককে আলাদাভাবে একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
Advertisement
অবশ্য ওই যুবক ঠিক কোন রাজ্যের বাসিন্দা বা তিনি কোন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তা গোপন রাখা হয়েছে। সম্ভবত দেশের কোনও বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাঁকে সরাসরি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবক মাঙ্কি পক্স আক্রান্ত কি না, তা জানতে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
আফ্রিকার ১৩ দেশে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কি পক্স বা এম পক্স। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশই অল্পবয়সি। এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার ১৩টি দেশে মাঙ্কিপক্সে ১৪ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মাঙ্কি পক্সকে গ্লোবাল এমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে হু। ২০২২ সাল থেকে মোট ১১৬টি দেশে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। তবে যেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা তা হল, এই রোগের নতুন একটি স্ট্রেন, যা সাধারণত যৌন সংক্রমণ থেকে ছড়াচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কয়েক সপ্তাহ আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা যাত্রীদের মাঙ্কি পক্সের লক্ষণগুলি আছে কি না, সে বিষয়ে কড়া নজর রাখতে হবে। দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল, সফদারজং হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালকে মাঙ্কি পক্সের জন্য চিকিৎসার নোডাল কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
গুটিবসন্তের একই গোত্রীয় ভাইরাস হলেও এম পক্স কম ক্ষতিকারক। প্রথমে এটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছিল। কিন্তু এখন এটি মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াচ্ছে। এই রোগে আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল – জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা। আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
মাঙ্কি পক্স নিয়ে বিশ্বজুড়ে শোরগোল চললেও আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এক সূত্র জানিয়েছে, এটি একটি সেলফ লিমিটেট ভাইরাস। কোভিডের সঙ্গে এমপক্সের কোনও সম্পর্ক নেই। নোডাল অফিসাররা ইতিমধ্যেই হাসপাতালে রয়েছেন। আইসিএমআরের ৩২টি কেন্দ্রে পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।
Advertisement



