নবান্নে অভিযানকে সামনে রেখে অরাজকতার ছক কষা হচ্ছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণালের অভিযোগ, কালকের মিছিল ঘিরে একটা বড় চক্রান্ত চলছে। শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি। ওরা বলছে বডি চাই।
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে দুটি ভিডিও পেশ করেন তিনি। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক স্টেটসম্যান ডিজিটাল। ভাইরাল ভিডিওতে একাধিক ব্যক্তির মুখে ঘুরে ফিরে এসেছে ওই শব্দ। কেউ বলেছেন ‘বডি চাই’। আবার কেউ বলেছেন, ‘বডি পড়বেই। রবার বুলেট চলবে।’ ভিডিওতে তাঁরা এ-ও দাবি করছেন যে, ২৭ তারিখের আন্দোলনে যদি একটাও খুন না হয় তবে আন্দোলন জোরালো হবে না।
Advertisement
‘বডি চাই’ শব্দবন্ধের উল্লেখ করে প্রাক্তন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘মঙ্গলবারের মিছিল নিয়ে একটা চক্রান্ত চলছে। আমরা তৃণমূলের সবাই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় – প্রত্যেকে আরজি করের ঘটনার বিচার চাই। আপনারা যদি বলেন, জাস্টিস ফর আরজি কর। আমরা বলব তোমার আমার এক স্বর। কিন্তু যদি বলেন, রিজাইন মমতা। তবে আমরা বলব, ময়দানে বুঝে নেবে বাংলার জনতা।’
Advertisement
মঙ্গলবারের অভিযান অবৈধ বলে দাবি করেন কুণাল। তাঁর কথায়, মঙ্গলবারের ওই মিছিল বেআইনি এবং অবৈধ। ওই মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়নি। সোশাল মিডিয়ায় মানুষকে খেপিয়ে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি।
সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন, নবান্ন অভিযানের জন্য পুলিশের থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।’ বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আন্দোলন গতি পাওয়ায় তৃণমূল হতাশায় ভুগছে, তাই এমন বিবৃতি। কোনও সংগঠন কালকের মিছিল করছে না।’
কুণাল-চন্দ্রিমারা সাংবাদিক বৈঠকে আরও বলেন, এই নবান্ন অভিযান বেআইনি। কে ডাক দিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। কোন রুট দিয়ে মিছিল যাবে তাও বলা হয়নি। কুণাল স্পষ্ট করে বলেন, এই অভিযানের উদ্দেশ্য হল সেদিন গন্ডগোল পাকিয়ে একটা ‘লাশ’ ফেলা। এই অভিযোগের সপক্ষে যুক্তি সাজাতে কুণাল আরও একটি ভিডিও দেখান। তবে দেখা যাচ্ছে, তাতে কেউ বলছেন যে ওই দিন ‘বডি পড়বেই’।
Advertisement



