• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ফের ভাঙল নীতীশের সেতু, ১৭০০ কোটি ব্যয়ে চলছে নির্মাণকাজ

নির্মাণ কার্য শেষ হওয়ার আগেই সেতু ভেঙে পড়া যেন বিহারে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দঁড়িয়েছ। দু’বছরের মধ্যে পর পর তিন বার ভেঙে পড়ল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ‘সাধের’ সেতু। সেই তালিকায় নব সংযোজন সুলতানগঞ্জ-আগুওয়ানি ঘাটে গঙ্গার উপর তৈরী হতে থাকা সেতুটি। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ন’বছর আগে। ভাগলপুর জেলার সঙ্গে খাগারিয়া জেলার সংযোগস্থাপনে কোটি

নির্মাণ কার্য শেষ হওয়ার আগেই সেতু ভেঙে পড়া যেন বিহারে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দঁড়িয়েছ। দু’বছরের মধ্যে পর পর তিন বার ভেঙে পড়ল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ‘সাধের’ সেতু। সেই তালিকায় নব সংযোজন সুলতানগঞ্জ-আগুওয়ানি ঘাটে গঙ্গার উপর তৈরী হতে থাকা সেতুটি। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ন’বছর আগে। ভাগলপুর জেলার সঙ্গে খাগারিয়া জেলার সংযোগস্থাপনে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতু নির্মাণের কাজ চলছে।

খাগারিয়া থেকে সুলতানগঞ্জে যেতে হলে অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয়। ফলে সময়ও অনেক বেশি লাগে। সেই দূরত্ব কমিয়ে আনার জন্য ২০১৫ সালে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এই সেতুর শিলান্যাস হয়েছিল। ৩.১৬ কিলোমিটার দীর্ঘের এই সেতুটি নির্মাণে বিহার সরকার ১,৭১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তার পর ন’বছর কেটে গিয়েছে, কিন্তু দুই জেলার সংযোগস্থাপন হয়নি এই সেতুর মাধ্যমে।

Advertisement

শনিবারই সেই সেতুটির বিশাল অংশ ভেঙে পড়ে গঙ্গায়। বার বার সেতুটি কেন ভেঙে পড়ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ থেকে শুরু করে বেশ কিছু অভিযোগও উঠতে শুরু করে। এর আগে ২০২২ সালেই ভেঙে পড়েছিল এই সেতু। ভাগলপুরের দিকে সেতুর অংশ ভেঙে পড়েছিল সেই সময়। তার পর ২০২৩ সালের জুনে খাগারিয়ার দিকে সেতুর অংশ ভেঙে যায়। পর পর দু’বার ভাঙার পর নির্মাণকারী সংস্থাকে জরিমানা করে বিহার সরকার। শুধু তাই-ই নয়, পুনর্নিমাণের খরচ ওই সংস্থাকেই বহন করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেয়নি নির্মাণকারী সংস্থা। আবারও ভেঙে পড়ল সেতুর অংশ।

Advertisement

Advertisement