• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ওএমারের তথ্য উদ্ধারে সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে হানা দিল সিবিআই

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগেই বিকাশ ভবনে হানা দিয়েছিল সিবিআই। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে। মনে করা হচ্ছে, ওএমআর সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে হানা দিয়েছে সিবিআই। সল্টলেকের আচার্য প্রফুল্ল ভবনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেখানেই হানা দিল সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর দল যায় (এপিসি)

cbi

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগেই বিকাশ ভবনে হানা দিয়েছিল সিবিআই। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে। মনে করা হচ্ছে, ওএমআর সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে হানা দিয়েছে সিবিআই।

সল্টলেকের আচার্য প্রফুল্ল ভবনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেখানেই হানা দিল সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর দল যায় (এপিসি) ভবনে। সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক এ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রে এই অভিযান চালানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ওএমআর সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়েছে সিবিআই।

Advertisement

উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। কিছু দিন আগে একটি বিশেষ নির্দেশে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ২০১৪ সালের টেটের ওএমআরের তথ্য উদ্ধার করতে প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, ‘সিবিআই যদি ওএমআর তথ্য উদ্ধারে অসমর্থ হয়, তবে তারা দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির সংস্থাগুলির থেকেও সাহায্য নিতে পারে। সেই নির্দেশের পর তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সিবিআইয়ের অধীনস্থ নয়, এমন দুই সাইবার বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে গিয়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ দল।

Advertisement

এরপর চলতি মাসে প্রাথমিক মামলার তদন্তে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে একাধিক বার হানা দেয় সিবিআই। ২০১৪ সালের প্রাথমিকের উধাও হওয়া উত্তরপত্র বা ওএমআরের খোঁজে ওই দফতরে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক হার্ড ডিস্ক এবং সার্ভার।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় এর আগে গত মাসে পর পর দু’বার বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেখানে একটি গুদামে তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু নথিপত্র। গুদামটি তালাবন্ধ ছিল বলে খবর সিবিআই সূত্রে। কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা গুদাম থেকে নথি উদ্ধার করে খতিয়ে দেখেছেন। সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখার জন্য ব্যবহৃত বিকাশ ভবনের ওই গুদামটি ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিল করে দিয়েছিল সিবিআই।

এবার সেই ওএমআর সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়েছে সিবিআই।

Advertisement