• facebook
  • twitter
Friday, 1 November, 2024

দমকল বিভাগের অনুমতি নেয়নি দশ হাজারেরও বেশি পুজো কমিটি

কলকাতা, ১১ অক্টোবর – পুজো আসতে বাকি হাতে গোনা কয়েকটা দিন। পুজো মণ্ডপগুলিতে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। কিন্তু এখনও দমকল বিভাগের অনুমতি নেয়নি দশ হাজারেরও বেশি পুজো কমিটি। যত দ্রুত সম্ভব সেই সমস্ত পুজো কমিটিকে আবেদনপত্র জমা দিতে বলেছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সরকারি হিসেবমাফিক, রাজ্যে ৪১ হাজারের বেশি দুর্গা পুজো হয়। যার মধ্যে চার

কলকাতা, ১১ অক্টোবর – পুজো আসতে বাকি হাতে গোনা কয়েকটা দিন। পুজো মণ্ডপগুলিতে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। কিন্তু এখনও দমকল বিভাগের অনুমতি নেয়নি দশ হাজারেরও বেশি পুজো কমিটি। যত দ্রুত সম্ভব সেই সমস্ত পুজো কমিটিকে আবেদনপত্র জমা দিতে বলেছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সরকারি হিসেবমাফিক, রাজ্যে ৪১ হাজারের বেশি দুর্গা পুজো হয়। যার মধ্যে চার ভাগের একভাগ এখনও দমকল বিভাগের অনুমতি নেয়নি। বুধবার মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “সরকার বিনামূল্যে অনুমতি দিচ্ছে। যে সকল পুজো কমিটি এখনও ফর্ম জমা দেয়নি, তারা দ্রুত দিয়ে দিন।’’ 

এই বছরে পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য এক গুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে দমকল বিভাগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শর্ট সার্কিট থেকে মণ্ডপে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে । তাই এই ধরনের ঘটনা এড়াতে মণ্ডপের ভিতরে নতুন ইলেকট্রিক তার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও বিভাগীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৩ হাজার দমকল কর্মী দিন রাত এক করে পুজোর সময়ে কাজ করবেন। সরকারের কাছে দফতরের তরফে আরও কর্মীর জন্য আবেদন করা হয়েছে। পুজোর সময় ১০০ টি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন তৈরি করছে দমকল। আগের বছর যা ছিল ৩৪ টি। এছাড়াও মণ্ডপে মণ্ডপে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। আগামী সপ্তাহে বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করবেন দমকল কর্তারা। 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দুর্গাপুজোর অনুমতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তিরস্কৃত হয়েছে রাজ্য সরকার। অনুমতি না থাকলেও কিভাবে হচ্ছে দুর্গাপুজো, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আইন ভেঙে কীভাবে পুলিশ পুজো করার অনুমতি দিচ্ছে, সেই প্রশ্ন ওঠে হাইকোর্টের এজলাসে। একটি নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এক সংগঠন। সেই মামলার শুনানিতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি।