গত দু’সপ্তাহে কলকাতা সহ বাংলায় বেশ কয়েকজন নৈরাজ্যবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এবং কয়েকজনকে নিজেদের রাজ্যে ফেরত পাঠানাে হয়েছে। নিজেদের রাজ্যে তাদেরকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলার সিআইডি এবং অন্যান্য প্রদেশের সিআইডি বিভাগের প্রবল প্রয়াস সত্ত্বেও সবকটি নৈরাজ্যবাদী সংগঠনকে ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি।
কয়েকটি নৈরাজ্যবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এখনও পুলিশের নাগালের বাইরে। তাঁরা ফরাসি এবং পর্তুগিজ এলাকাগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজদ্রোহ এমন কোনও অপরাধ নয় যেটির দোষে ওইসব এলাকা থেকে অপরাধীদের প্রত্যর্পণ করা সম্ভব।
নৈরাজ্যবাদী নেতৃবৃন্দ গােয়া, পণ্ডিচেরী এবং চন্দননগরে তুলনামূলকভাবে অনেক নিরাপদ এবং সেখান থেকে নিজেদের কাজকর্ম অবাধে চালিয়ে যেতে পারছেন তাঁরা।
একটি গুজব ভীষণভাবে রটেছিল যে অরবিন্দ ঘােষ বার্লিনে থাকাকালীন কাইজারকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। কীভাবে বিপ্লবী দলের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারকে চূড়ান্ত উত্ত্যক্ত করা যায়। অরবিন্দ ঘােষ এখন পণ্ডিচেরিতে আছেন। জানা গিয়েছে জার্মানি থেকে আসা অর্থ নৈরাজ্যবাদীদের হাতে পৌঁছেছে। তবে পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠায় তাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। পুলিশ ১০ জনেরও বেশি বিপ্লবীকে গ্রেফতার করেছে।