জানা যায় পটল খেত পরিচর্যা করতে গিয়ে হাইএক্সটেনশন তারে হাত লেগে যাওয়ায় তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল তিনজন সবজি চাষির। গ্রামবাসীরা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের গাফিলতির জন্যই তিন তিনটি তরতাজা প্রাণ চলে গেছে। তাই মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাদুড়িয়ার থানা এলাকার মধ্যেই পরে বাজিতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামনহাট গ্রাম। শুক্রবার ভোরবেলায় আনারুল জমাদার (৪৭) ও তাঁর ছেলে রহমান জমাদার (২০) নিজেদের জমিতে চাষ করা পটল গাছের পরিচর্যা করছিলেন। জমির ঝোপের আড়ালে ছিঁড়ে পড়া হাইএক্সটেনশন তার তাঁদের নজরে আসেনি। সেই তারে হাত পড়তেই দু’জনেই তড়িদাহত হন। বাবা-ছেলেকে বিদ্যুতের তার জড়ানো অবস্থায় দেখে তাঁদের বাঁচাতে সেখানে ছুটে যান বছর বাহান্নর রফিকুল ফকির ও আরও এক প্রতিবেশী। সেখানে গিয়ে রফিকুলও তড়িদাহত হন। এই তিনজনকে বাঁচাতে গিয়ে ওই প্রতিবেশীও গুরুতর আহত হন।
Advertisement
রাজ্যবিদ্যুৎ দফতরের শাখা অফিসের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতি নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতদের আত্মীয়রা। তাঁরা মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
Advertisement
Advertisement



