কলকাতা, ১৬ মে — মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার একটি পর্যবেক্ষণে সেই নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করলেন, ‘আমি কিছু বলছি না। আমি মুখ খুললেই রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হয়ে যাবে ।
এমনিতেই নিয়োগ দুর্নীতিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বা সংবাদ মাধ্যমে কথা বলা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তার মাঝে গত শুক্রবার এক লপ্তে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে ৪২ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাঁদের মধ্যে থেকেই ৩৬ হাজারের চাকরি বাতিল করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
Advertisement
এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রায় সংশোধন করে জানিয়েছেন, সংখ্যাটা ৩৬ হাজার নয়। সেটা ৩২ হাজার হবে।
Advertisement
এই শুনানির পর্যবেক্ষণেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ঝাঁকে ঝাঁকে চাকরি বিক্রি হয়েছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। কোর্ট দোষী নয়। আপনারা ( প্যারা টিচার) বলুন সেগুলো।’
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুধু তাই নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘হতাশ হবেন না। মন খারাপ করবেন না।’
সেই প্রেক্ষাপটে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।
Advertisement



