তেজপুর , ৮ এপ্রিল – অসম সফরে গিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন আসনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। যুদ্ধ বিমানে চড়ে বসলেন রাষ্ট্রপতি। তেজপুরে বায়ুসেনার ঘাঁটি থেকে এদিন সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধ বিমানের আসনে চড়ে বসেন তিনি। পরনে ছিল অ্যান্টি-গ্র্যাভেটি স্যুট। ব্রহ্মপুত্র ও তেজপুর ভ্যালির উপর দিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট আকাশে পথে সফর করেন তিনি। তারপর আবার ফিরে আসেন বায়ুসেনার ঘাঁটিতেই।
ভারতের রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে দ্রৌপদী তৃতীয় যিনি যুদ্ধ বিমানে উড়লেন। প্রথম সুখোইতে চড়েন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। কালামের পর রাষ্ট্রপতি হন প্রতিভা সিং পাতিল। ৭৪ বছর বয়সে প্রতিভা যুদ্ধ বিমানে উড়ে বিশ্ব রেকর্ড করেন।
Advertisement
২০১৮-তে নির্মলা সীতারমন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকাকালে যুদ্ধ বিমানে চ ড়েছেন। প্রণব মুখোপাধ্যায়ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকাকালে যুদ্ধ বিমানে ওড়েন।
Advertisement
তিন দিনের অসম সফরে বৃহস্পতিবার বিকেলে গুয়াহাটিতে পৌঁছন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল গুলাব চাঁদ কাটারিয়াও। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়ে অসম সফরে গেছেন দ্রৌপদী মুর্মু । ৬ তারিখ সেখানে পৌঁছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে ‘গজ উৎসব’-এর উদ্বোধন করেন। কাজিরাঙাতে বেশ কিছুক্ষণ কাটান, জঙ্গল সাফারিও করেন। হাতিদের সান্নিধ্যেও সময় কাটান অনেকক্ষন ।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতা বলে ভারতের রাষ্ট্রপতি আবার ভারতীয় সেনার সুপ্রিম কমান্ডারও বটে। এর আগে মার্চ মাসে নৌসেনার অধীনে থাকা আইএনএস বিক্রান্ত পরিদর্শনেও যান রাষ্ট্রপতি। বিমানে থাকা নৌসেনার আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথাও বলেন। এবার, তাঁর যুদ্ধবিমানে উড়ান নিয়ে জোর চর্চা নানা মহলে। সূত্রের খবর, বায়ুসেনার ১০৬ স্কোয়াড্রনের কমান্ডিং অফিসার গ্রুপ ক্যাপ্টেন নবীন কুমারকে এদিন বিমানটি চালাতে দেখা যায়। বিমানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উপরে উড়তে থাকে ৩০ মিনিট ধরে। গতি ছিল প্রায় ৮০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। প্রসঙ্গত, সুখোই-৩০ এমকেআই তৈরি হয়েছে রাশিয়ার হাতে। শত্রু দমনে, সীমান্ত নজরদারিতে বরাবরই বড় ভূমিকা রেখে আসছে এই যুদ্ধ বিমান। অন্য দিকে চিনের অবস্থানগত কারণের এই বিমান ঘাঁটির সামরিক গুরুত্ব বেশি।
Advertisement



