• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পিতৃপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্যই   মহালয়ার ভোরে তর্পণ

২৫ সেপ্টেম্বর — এই পৃথিবীতে কেউ চিরস্থায়ী নয় ,যে জন্মেছে তার মৃত্যু আছে। তাই  প্রত্যেকের জীবন থেকে তাদের  কাছের মানুষজনরা একদিন  হারিয়ে যায় ।প্রকৃতির নিয়মের বাইরে তাদের কে ধরে রাখার ক্ষমতা কারোর নেই।যারা চলে যায় তাদের আমরা স্মরণ ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না।মানুষ  চেষ্টা করে  তাদের আত্মা যেন শান্তি পায়। তাই মহালয়া তে তর্পন

২৫ সেপ্টেম্বর — এই পৃথিবীতে কেউ চিরস্থায়ী নয় ,যে জন্মেছে তার মৃত্যু আছে। তাই  প্রত্যেকের জীবন থেকে তাদের  কাছের মানুষজনরা একদিন  হারিয়ে যায় ।প্রকৃতির নিয়মের বাইরে তাদের কে ধরে রাখার ক্ষমতা কারোর নেই।যারা চলে যায় তাদের আমরা স্মরণ ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না।মানুষ  চেষ্টা করে  তাদের আত্মা যেন শান্তি পায়। তাই মহালয়া তে তর্পন করা হয় পূর্বপুরুষদের।  তিথি অনুযায়ী আশ্বিন মাসের অমাবস্যা ভোর না হলেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে উপচে পড়েছে মানুষ। বুক জলে নেমে চলছে পিতৃতর্পণ। তিল জল হাতে কাঁপা কাঁপা সংস্কৃতে উচ্চারণ করছে- সৰ্ব্বেতে তৃপ্তিমায়ান্তু। মৃত গুরুজনের আত্মা যেন তৃপ্তি পায়। কিন্তু জানেন কি, কেন মৃত পরিজনদের উদ্দেশ্যে তিল জল দানের এই রীতি চলে আসছে বছরের পর বছর?

হিন্দুধর্মে যে কোন শুভ কাজের আগে নান্দীমুখ শ্রাদ্ধ করার বিধান রয়েছে। জগজ্জননী দুর্গার পুজো শুরু করার আগেও পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে জল, তিল, চন্দন, তুলসীপাতা নিবেদন করতে হয়। এর মূলে রয়েছে সনাতনী বিশ্বাস— শরীর মরলেও আত্মা মরে না। আত্মার বিনাশ বা ক্ষয় নেই। তাই মাতৃ আরাধনার আগে পিতৃপুরুষের আত্মার তৃপ্তি সাধনের জন্যই মহালয়ার এই তর্পণ-শ্রাদ্ধ। 

Advertisement

Advertisement

Advertisement