অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। আর বাঙালির মননে দেবীপক্ষের সূচনা হয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণের মহিষাসুরমর্দিনীর মাধ্যমে। আপামর বাঙালি তাতেই অভ্যস্ত। এবার সেই মহিষাসুরমর্দিনীর একটু অন্য ধরন দেখলেন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দারা। প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হল মহিষাসুরমর্দিনী। ট্রেন থেকে স্টেশনে নেমে ‘অসুর বধ’ দেখে অবাক যাত্রীরা। অসুর বধ হচ্ছে এক্কেবারে ভরা প্ল্যাটফর্মে। মহালয়ায় ট্রেনের মধ্যেই একেবারে অভিনব কায়দায় ‘সংস্কৃতি যাত্রা’। সৌজন্যে আলিপুর দুয়ার ‘সাংস্কৃতিক সংস্থা’। সহযোগিতায় ভারতীয় রেল। এই উদ্যোগে খুশি যাত্রী থেকে রেলের অধিকারিকরা।
এদিন অনুষ্ঠান দেখতে সপরিবারে আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। অভিনবভাবে দেবীপক্ষের উদযাপনে স্বভাবতই খুশি তিনি। সুমন কাঞ্জিলাল জানিয়েছেন, ‘প্রতি বছর আমি এখানে আসি। ট্রেনে করে চলমান প্রভাতফেরী একেবারেই অভিনব। আগে কোথাও দেখিনি।’ তাঁর কথায়, ‘বহু বছর আগে এই অভিনব চলমান প্রভাতফেরী শুরু হয়েছিল। তা এখনও চলছে। এর সঙ্গে একটা ভালোবাসা, আবেগ জড়িয়ে রয়েছে।’
Advertisement
প্রসঙ্গত, মহালয়া মানেই পিতৃপক্ষের অবসান। সে কথা মাথায় রেখেই আজ রবিবার শিলিগুড়ি-বামনহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেনে এই সংস্কৃতি যাত্রার আয়োজন। তাই সকাল থেকেই একেবারে সাজো সাজো রব। আলিপুরদুয়ার জংশন রেল স্টেশন থেকে শুরু হয় এই ‘সংস্কৃতি যাত্রা’ । চলে বাংলাদেশ সীমান্তের বামনহাট রেল স্টেশন পর্যন্ত। সব স্টেশনেই মহিষাসুরমর্দিনী অভিনয় করে দেখান আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মীরা। আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক সংস্থার সম্পাদক আশ্চর্য মল্লিক বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আমরা এই অনুষ্ঠান করছি। এবার ১৬ তম বর্ষে পড়ল। আগামী বছর গোটা রাজ্যে ঘুরব আমরা। এই অনুষ্ঠান ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।’
Advertisement
Advertisement



