পুলিশ জানিয়েছে, একটি বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার থেকে টাকা ধার নিয়ে ট্রাক্টর কিনেছিলেন এক কৃষক। তিনি বিশেষভাবে সক্ষম। ট্রাক্টর কেনার কিস্তির টাকা শোধ দিতে পারেননি সময় মতো। টাকা আদায় করতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হন ওই সংস্থারই এক কর্মী। টাকা শোধ দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ঝামেলা চরমে পৌঁছয়। বাবার সঙ্গে অশান্তি করতে দেখে বাইরে বেরিয়ে আসেন ওই কৃষকের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে। অভিযোগ, বচসার মাঝে ওই ঋণ আদায়কর্মী নাকি ট্রাক্টর চালিয়ে দেন মেয়েটির ওপর দিয়ে।
রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সুপার মনোজ রতন ছোটে বলছেন, মাহিন্দ্রা ফিনান্স কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ওই কৃষক। অভিযোগ, পুলিশকে না জানিয়েই ওই কৃষকের বাড়িতে চড়াও হন ওই সংস্থার ঋণ আদায়কর্মী। এমনকি ওই পরিবারকেও আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি।
Advertisement
ওই ঋণ সংস্থার ম্যানেজার সহ চার কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। মাহিন্দ্রা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ একজিকিউটিভ অফিসার অনিশ শাহ বলেছেন, চূড়ান্ত অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। পুরো বিষয়টা কোম্পানির তরফে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Advertisement
Advertisement



