২০২৪ -২৫ সালের প্রথম ১০ মাসে ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকার আন্তর্জাতিক ঋণ ও অনুদান পেয়েছে পাকিস্তান। তা সত্ত্বেও তাদের আকাঙ্খা পূরণ হয়নি। আরও আর্থিক সাহায্য চাই শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন সরকার। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন দেশের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের (ইএডি) রিপোর্ট উল্লেখ করে জানিয়েছে, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ইসলামাবাদের লক্ষ্য ১.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করা। সেই চাহিদা পূরণে এখনও ২০ লক্ষ কোটি টাকা বাকি রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তান গত বছরের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে আগে ঋণ বা অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে।
তবে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ) থেকে পাকিস্তান যে ঋণ পাচ্ছে, তার হিসাব এই ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে নেই। এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফেসিলিটি (ইএফএফ) প্রকল্পের অধীনে পাকিস্তানকে ৫৯.৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ। গত বছরের অক্টোবর মাসে তার সাড়ে আট হাজার কোটি পেয়েছে পাকিস্তান। চলতি মাসে আরও সাড়ে আট হাজার কোটি আইএমএফের তরফে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
প্রসঙ্গত গত ১০ মাসে পাকিস্তান যে ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকার আন্তর্জাতিক অর্থসাহায্য পেয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের ২৫.৫ হাজার কোটি টাকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ১৭ হাজার কোটি টাকা এবং চিনের আরও ২৫.৫ হাজার কোটি টাকা।
Advertisement
সাধারণত চুক্তি অনুযায়ী, চিন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কাছ থেকে বিভিন্নভাবে অর্থ সাহায্য পেয়ে থাকে পাকিস্তান। গত বছর আন্তর্জাতিক সাহায্যের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা। প্রত্যাশিত তিন দেশ ছাড়া বাইরে থেকে বাড়তি সাহায্য মিলেছিল ৬০.৮ হাজার কোটি টাকা। এই তিন দেশ ছাড়া গত জুলাই থেকে এপ্রিলের মধ্যে বাড়তি ঋণ এসেছে ৫১.৮ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় তা প্রায় ১৫ শতাংশ কম।
উল্লেখ্য, আগামী বছরের ফেডেরাল বাজেট নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে আইএমএফ। শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটি। গত ১৯ মে থেকে ইসলামাবাদে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের বাজেট প্রস্তাব নিয়ে। যেহেতু বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত, তাই পাক সরকার আগামী ১০ জুন পর্যন্ত বাজেট ঘোষণা স্থগিত রেখেছে। শনিবার আইএমএফের পাকিস্তান মিশনের প্রধান একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘বাজেট নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা গঠনমূলক ছিল। আগামী দিনেও এই আলোচনা আমরা চালিয়ে যাব।’
Advertisement



