ভবানীপুর উপনির্বাচনে ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে জয়ী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ রাউন্ড শেষে বিপুল ভোটে জয় পেলেন মমতা। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৫ হাজার ২৬৩ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের হার ৭১.৯১ শতাংশ।
বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪২৮ ভোট। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের হার ২২.২৯ শতাংশ। অন্যদিকে ৭০২ টি পোস্টাল ব্যালটের মধ্যে মমতা পেয়েছেন ৫৫৪ টি, বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ১০৪ টি, সিপিএমের শ্রীজীব পেয়েছেন ২৫ টি ভোট।
Advertisement
জয়ী হওয়ার পর মমতা বলেন সারা বাংলা খুব আঘাত পেয়েছিল যখন সব ভোটে জিতেও একটায় জয়ী হতে পারিনি। সেটা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এখন তা নিয়ে কিছু বলব না অনেক চক্রান্ত চলছিল।
Advertisement
সব চক্রান্ত জব্দ করে দিয়েছে বাংলার মানুষ। ভবানীপুরের মানুষ। ভবানীপুরের মানুষের কাছে আমি চিরঋণী। ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপির ঘোষণা করে দেওয়া উচিত ছিল যে, আমরা এই লড়াইয়ে আর নেই।
আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরের মানুষের হৃহৃদয়ে রয়েছেন। এরপর দিল্লিতে যেতে হবে। ভারতের রাজনীতিতে যেতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপিকে সরতে হবে। মমতাকে বাংলায় নয়, দেশে অগ্রণী ভূমিকায় দেখতে চান মানুষ।
২০২৪ সালে মোদি সরকার দেশের ক্ষমতা থেকে সরলে আসল জয় সেদিন আসবে। ভোটের ফল বেরোনোর পর যদুবাবুর বাজারে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে।
সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূল নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, ভবানীপুর মমতার নিজের এলাকা হলেও মাত্র ৫৩ শতাংশ মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ভবানীপুরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস বলতে যা বোঝায়, সেটা নেই।
আরও বলেন, রাজ্যের সবথেকে কম ভোট পড়েছে ভবানীপুরে। মমতা জয়ী হবেন, তার জন্য কোনও ভবিষ্যদ্বাণীর দরকার হয় না। কোনও বিজ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ভবানীপুরে তাঁর প্রতি মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস, তার কোনও প্রতিফলন আমি দেখিনি। নেতা-কর্মী-সমর্থকদের স্বতঃস্ফুর্ত উচ্ছ্বাস সর্বত্র প্রতিফলিত হয়।
রবিবার ভবানীপুর উপনির্বাচনে বড় জয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে উজ্জীবিত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আসন্ন চার বিধানসভার উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করলেন মমতা। আগামী ৩০ অক্টোবর এই কেন্দ্র গুলির উপনির্বাচন রয়েছে।
ফলাফল আগামী ২ নভেম্বর। জয়ের সংবাদ কালীঘাটে পৌঁছনোর পর বাড়ি থেকে বেরো হন মমতা। প্রথমেই ভবানীপুরের জনতাকে অভিনন্দন জানানোর পরই তাঁর ঘোষণা, ‘শান্তিপুর উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন ব্রজকিশোর গোস্বামী। দিনহাটার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন উদয়ন গুহ।
খড়দহ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।’ গোসাবা আসনেও উপনির্বাচন হবে। সেখানে প্রার্থী হবেন সুব্রত মণ্ডল। উপনির্বাচনের ফলগণনা আগামী ২ নভেম্বর।
Advertisement



