অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আরও এক দাওয়াই দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অব্যবহৃত যাবতীয় সামগ্রীর দাম নির্ধারণ করবে সরকার। এবং তার মালিকানা থাকবে কেন্দ্রের হাতে। এই মর্মে ৬ লক্ষ কোটি টাকার এন এম পি প্রকল্প চালু করা হল। আর এই প্রকল্পের বিরােধিতাতেই গর্জে উঠল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানালেন, আর্থিক সংস্কারের এই রাস্তা নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলােচনা হয়নি, এটা ইস্তেহারেও ছিল না। নিয়ম না মেনেই এটি চালু হয়েছে।
Advertisement
এনএমপি-ত বেসরকারিকরণের পথ আরও প্রশস্ত হল বলেও মনে করছেন তৃণমূল সাংসদ। প্রকল্পটির পক্ষে নির্মলা সীতারমণের বক্তব্য ছিল, কোনও অব্যবহৃত সামগ্রী, যার কোনও মালিকানা নেই, সম্পদ হলেও যা দিনের পর দিন অবহেলায় পড়ে রয়েছে, সেসবের নির্দিষ্ট অর্থমূল্য ধার্য করে বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে ব্যবহার করা হােক।
Advertisement
তবে এই অর্থের লভ্যাংশ থাকুক কেন্দ্রের হাতে। তাতে কোষাগারের চাপ কিছুটা কমতে পারে বলে আশা তার। নীতি আয়ােগের সিইও অমিতাভ কান্ত অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব্বে আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, চার বছর পর এসব্বে নির্দিষ্ট মুল্য স্থির করা হবে সােমবার তাঁর এই ঘােষণার পর।
মঙ্গলবারই এর বিরােধিতায় সরব হল তৃণমূল। প্রক্রিয়াটি আদতে কী, কেমন, তা বিশদে ব্যাখ্যা করে সুখেন্দুশেখর রায়ের বক্তব্য, এটা জনবিরােধী এক নীতি। এতে সরকার নিয়ন্ত্রিত একাধিক সামগ্রী বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার রাস্তা চওড়া হচ্ছে।
সুখেন্দুশেখর রায়ের মতে, এটি আসলে লিজ প্রক্রিয়ার মতােই। নির্দিষ্ট সময় পর তা বিক্রিও করা যাবে। এনএমপি সংক্রান্ত কাগজ খতিয়ে দেখে তিনি জানাচ্ছেন, এ ধরনের সম্পত্তির মধ্যে যেমন রেল স্টেশন রয়েছে, তেমনই রয়েছে জাতীয় গ্যাস পাইপলাইন, রাস্তা, বিদ্যুৎ প্রকল্প-সহ একাধিক সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পদ। জাহাজবন্দর, বিমানবন্দরকেও এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
Advertisement



