তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে লড়াই আসলে লােক দেখানাে। দুই দলই তলায় তলায় বােঝাপড়া করে চলছে। ভােটের পর কিন্তু সিপিএম কিছুটা হলেও অন্য সুরে গাইতে শুরু করল। বুধবার বিকালে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু যা বললেন, তাতে যেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে অনেকে শুনতে পাচ্ছেন কালীঘাটের সুর।
বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা বানিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। নরেন্দ্র মােদি সরকারের নীতি ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভূমিকা নিয়ে বামেরা বললেও, টার্গেট ছিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু ভােট শেষ হওয়ার পর এবার বামফ্রন্টের নিশানায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
Advertisement
১৬ জুন বুধবার থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত পনেরােদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বামেরা। এরমধ্যে রয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়া এবং ওষুধের দাম বাড়ার মত ইস্যু। তবে এদিন বিমানবাবু জানিয়েছেন, যােলাে বাম দলকে নিয়ে তারা একযােগে এ রাজ্যে কর্মসূচি পালন করবে।
Advertisement
রাজ্যের ইস্যুর কথা বলতে গিয়ে বিমানবাবু এদিন বলেন, কেন্দ্র যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে নাক গলাচ্ছে তা ঠিক হচ্ছে না। সেইসঙ্গে রাজ্যপাল যা ভূমিকা নিচ্ছেন তা রাজ্যপাল সুলভ নয়। রাজ্যপাল তাে সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। তিনি তাে বিজেপির লােক নন। কিন্তু তিনি এমন কাজকর্ম শুরু করেছেন তাতে মনে হচ্ছে তিনি বিজেপিরই লােক।
উল্লেখ্য, আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, উনি তাে বিজেপিরই লােক। একই সুরে জগদীপ ধনকড়কে নিশানা বানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মহুয়া মিত্র। এবার সেই একই সুর শােনা গেল বিমান বসুর মন্তব্যে।
Advertisement



