মধ্যপ্রদেশ জুড়ে তল্লাসি চালিয়ে ২৮১ কোটি টাকা চোরাচালানের হদিশ পেল আয়কর দপ্তর। এই বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের পিছনে একটি সুসংবদ্ধ চক্র কাজ করছিল বলে আয়কর সূত্রে জানানো হয়েছে। আয়কর দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ টাকার একটা অংশ একটি বড় রাজনৈতিক দলের দিল্লির অফিসে গিয়েছে।এর মধ্যে কোটি কোটি টাকা দিল্লির তুঘলক রোডের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাড়ি থেকে হাওলা চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বাঘের চামড়া,২৫২ বোতল মদ এবং কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে যে, দিল্লিতে তল্লাশি চালিয়ে এই চক্র সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে।দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন একজনের ভূমিকাই খুবই বেশি। তার কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে ভুয়ো সংস্থা খুলে বিল বানিয়ে টাকার হাতবদল হত।
নির্বাচনের ঠিক আগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব প্রবীণ কাক্কার এবং প্রাক্তন পরামর্শদাতার বাড়িতে তল্লাশি চলে । ইন্দোর এবং দিল্লিতে দুজনের বাড়িতেই তল্লাশি চালায় আয়কর দপ্তর ।দুটি ঘটনাতেই শাসক দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধীরা।তাঁদের অভিযোগ ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় সরকার ভয় দেখাতে চাইছে।এরইমধ্যে রবিবার নির্বাচন কমিশনার আয়কর দপ্তরকে জানিয়েছে এই ধরনের অভিযান যেন নিরপেক্ষতা বজায় রেখে চালানো হয়।নির্বাচনী আচরণবিধি যতদিন থাকবে ততদিন এই ধরনের অভিযান চালানোর আগে নির্বাচন কমিশন কে জানাতে হবে।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



