চলতি মাসেই ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে রাজ্যে। সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ধাপে ধাপে জওয়ানরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঢুকতে শুরু করবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে তাদের রাজ্যে চলে আসরে কথা।
কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মােতায়েন থাকা বাহিনীর সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করবে। এমনকি ভােট ঘােষণার আগেও বিশেষ স্পর্শকাতর জায়গাতে টহলদারি চালাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সামনের বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা।
Advertisement
কমিশনের ফুল বেঞ্চ ইতিমধ্যেই রাজ্য সফর সেরে গিয়েছেন, সেই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা জানিয়েছিলেন, নিয়ম মেনেই বাহিনী মােতায়েন করা হবে। ধাপে ধাপে সেই সংখ্যা বাড়ানাে হবে। তাছাড়া ভােটের সময় কোথায় কত বাহিনী থাকবে তা নির্ভর করবে কোথায় তাদের কিভাবে বিন্যস্ত করা যাবে। কিন্তু কত বাহিনী আসছে তা এখনও জানা যায়নি। কারণ কমিশন সূত্রের খবর উত্তরাখন্ডের বিপর্যয়ের ফলে কিছু সংখ্যক বাহিনী সেখানে মজুত রাখতে হচ্ছে। তাই কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে পাঠানাে হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয় কমিশনের পক্ষে।
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে চলতি বছরে আসামেও ভােট। ফলে পূর্বাঞ্চলের এই দুই রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মােতায়েন থাকবে। আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনী মূলত স্পর্শকাতর এলাকা, সীমান্তবর্তী এলাকার টহলদারি ও রুট মার্চ চালাবে। তবে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খন্দ্র ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই রাজ্যে আধাসামরি বাহিনী ঢুকতে শুরু করবে।
সূত্রের খবর পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ায় সবচেয়ে বেশি কোম্পানি আধাসেনা মােতায়েন করা হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে বীরভূম জেলায় শুত্রবার রাতেই ৯ কোম্পানি বাহিনী আসছে। তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে সিউড়ি আইটিআই কলেজে।
জেলার পুলিশ সুপার মিরাজ মালিদ জানিয়েছেন, আগামী দু থেকে তিন দিনের মধ্যে পাঁচ কোম্পানি বাহিনী ঢুকবে বীরভূমে। নির্বাচন বিধি মেনে তাদের টিকাকরণও করা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সিউড়ি রামপুরহাট ছাড়াও বােলপুরের মতাে স্পর্শকাতর জায়গায় মােতায়েন করা হতে পারে।
Advertisement



