বিধানসভা নির্বাচনের আগে রণকৌশল স্থির করতে কালীঘাটে কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজে ঝাপিয়ে পড়ার বার্তা দেবার পাশাপাশি অমিত শাহ বাংলা সফরের পরদিন সােমবারই সবাইকে প্রচারে ঝাপিয়ে পড়তে হবে বলে এদিন কালীঘাটের বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর।
বৈঠকের পর প্রবীন সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা প্রচার চলবে। দল ভাগ করে এই ব্যাপারে দায়িত্ব দেবে। দিদি যেমন প্রচরে বেরােচ্ছেন তেমন বেরােবেন। প্রচারের বিষয়বস্তু কি হবে সে ব্যাপারে দলের তরফে সময় মতাে ইনপুট দেওয়া হবে।
Advertisement
জানা গিয়েছে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রচার করবে দল। সেই সঙ্গে বিজেপিকে বহিরাগত তকমা দিয়ে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাবে।
Advertisement
এই বার্তা দেওয়ার ধারাবাহিক চেষ্টা হবে যে বিজেপি বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতি ও আবেগ বােঝে না। সে ব্যাপারে তাদের কোনও সম্যক ধারণা নেই। খবর সেই সঙ্গে প্রচারে বেরােতে বলা হবে সাংসদ ও অভিনেতা দেব, মিনি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান রুহিকে। সুজাতা মন্ডল খাঁ কে বলা হয়েছে বাঁকুড়ায় গিয়ে প্রচার করতে।
তৃণমূল নেতা বিধায়ক সাংসদরা দল ছেড়ে অন্য দলে যাবার জন্য অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। এ নিয়ে বৈঠকে কয়েকটি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। সূত্রের খবর ভাবমুর্তি নষ্ট হয় এমন কোনও মন্তব্য করতেও বারণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু না হয় আপাতত ততদিন মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌছে প্রচরের কথা বলেছেন। প্রত্যেকের কাছে পৌছানাের বার্তাই দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বৈঠকের পর দলের তরফে কৃষি আইন নিয়ে অমননীয় মনােভাবের নিন্দা করেন। সাধারণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় কৃষকদের আন্দোলনের ঘটনায় বিজেপি ঘনিষ্ট একজন জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযােগ করেন। আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে তৃণমূল রয়েছে বলেও আর একবার জানান তিনি।
এছাড়াও তিনি জানান আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি বাজেট পাশ হবে। দলীয় সূত্রের খবর তৃণমূল প্রথম দফায় যে প্রচারের কৌশল স্থির করেছে। তা ভােটের নির্ঘন্ট ঘােষণার আগে শেষ হবে। তারপর ভােটের দিন ঘােষণা হলে বড় বিষয় হয়ে উঠবে প্রার্থী তালিকা ঘােষণা। সেই ঘোষণার পর দ্বিতীয় দফায় প্রচারে নামবে তৃণমূল।
Advertisement



