• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ভোট ও পরিবেশ

সামনে সাধারণ নির্বাচন। দেশজুড়ে আজ সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। পরিবেশ দুষণের নেপথ্যে মানুষের দায় বিপুল। নির্বাচনকে ঘিরে পরিবেশ দুশন সংক্রান্ত বিধি তৈরির আজ প্রয়োজন। না হলে ভবিষ্যতে গভীর বিপদের আশঙ্কা। তারই অন্যতম, অতিমাত্রায় প্লাস্টিক ব্যবহার।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি (Photo: Getty Images)

সামনে সাধারণ নির্বাচন। দেশজুড়ে আজ সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ‘সাজ’ শব্দটি এক্ষেত্রে কোনও রুপক নয়, চারপাশ থেকে কানে যে শব্দ এসে পৌছয় তার সবটাই প্রচার কাজে নিবেদিতপ্রাণ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মীদের একযোগে চলতে থাকা ভাষণ। কারুর বক্তব্যই একবর্ণ বোঝার উপায় নেই, কেউই কাউকে কয়েক কয়েক মুহূর্তের অবকাশ দেওয়ার সৌজন্যবোধ দেখানোর সাহস সঞ্চয় করতে পারবেন না। ওই মর্মে কোনও রাজনৈতিক পাঠ নির্বাচনযুদ্ধের অংশ হয়ে ওঠেনি। অতঃপর শব্দদুষণ প্রসঙ্গটি সবাই সযত্নে এড়িয়ে যাবেন। গাছের ভোট নেই, তাই ডাল কেটে গুঁডিতে পেরেক ঠুকে যা ইচ্ছে তাই করা যায়। প্লাস্টিকের ব্যবহার এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে নির্বাচনপরবর্তী সময়ে নদী, নালা, ড্রেন সমস্তটা বন্ধ হয়ে যায়, বর্ষায় খানিকটা যে ফের কাজে লাগানো যায় সেটাই আশ্চর্যের। মুশকিল হল মাছ, জলজ উদ্ভিদ বা অন্য প্রাণীরা ঝাড়েবংশে মারা পড়ে কিনা তার খবর রাখার উপায়ই নেই। নির্বাচনকে ঘিরে পরিবেশ দুশন সংক্রান্ত বিধি তৈরির আজ প্রয়োজন। না হলে ভবিষ্যতে গভীর বিপদের আশঙ্কা।

পরিবেশ দুষণের নেপথ্যে মানুষের দায় বিপুল। তারই অন্যতম, অতিমাত্রায় প্লাস্টিক ব্যবহার। দৈনন্দিন যাপনে প্লাস্টিক ব্যবহারের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারের চেষ্টা চললেও কাজ হচ্ছে কতটুকু তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। সমস্যাগুলি সর্বজনবিদিত হওয়া সত্বেও সমুদ্রে এখন বিপুল প্লাস্টিক বর্জ্য। প্রতি বছর প্রায় ১২.৭ মিলিয়ন টন প্লাস্টক বর্জ্য সমুদ্রে মিশছে। মহাকাশ থেকে তোলা স্যাটেলাইটের ছবিতে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের ক্যালিফোর্নিয়া তটের কাছে প্রায় মেক্সিকোর সমান মাপের একটি ভাসমান প্লাস্টিক বর্জ্যের দ্বীপের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক সমুদ্রের প্রাণীদের কাছে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। তারই নিদর্শন সম্প্রতি ফিলিপিন্সে একটি মৃত তিমির দেহে ৪০ কিলোগ্রাম প্লাস্টিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই-তে যাবতীয় রেস্তোরাঁয় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আসলে প্লাস্টিক ব্যবহার করার যে মূল কারণ তা হল সঠিক বিকল্পের অভাব। জলের বোতল, থান্ডা পানীয়ের বোতলের প্লাস্টিকের বিকল্প কী হবে, এটা যতদিন না পর্যন্ত স্থির হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত শুধু নিষিদ্ধ করে প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো যাবে না। তবে সুখের কথা এ নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। ভারতের মতো দেশে, যেখানে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার হাল বিশেষ ভালো নয়, সেখানে এই বিকল্পটির বন্দোবস্ত আবশ্যিক। না হলে নিষেধের বেড়া তপকে পুরনো অভ্যাসই যে বহাল থাকবে না, তাঁর নিশ্চয়তা কী! বেশ কিছু পানীয়ের কোম্পানি ফ্রুট জুশ ইত্যাদিতে টেট্রাপ্যাকের প্যাকেট ব্যবহার শুরু করেছেন। এর চল যত বাড়বে ততই প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদির ব্যবহার কমবে।

Advertisement

Advertisement

Advertisement