দফায় দফায় বিশ্ববাসীকে জয়ের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপি প্রথম সারির নেতৃত্ব। এমনকি বিহারের জয়ের পর আবেগে আপ্লুত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। অত্যধিক ভােটের ব্যবধানে জয়ের জন্য এই আনন্দ, নাকি বিহারের অপ্রত্যাশিত জয়ের জন্যই এই আবেগ? উঠছে প্রশ্ন।
বিহার নির্বাচনে তেজস্বী যাদবদের থেকে মাত্র ১২ হাজার ৭৬৮ ভােটের ব্যবধানে জিতেছে এনডিএ। ভােটে এনডিএর প্রাপ্ত ভােটের সংখ্যা ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ১২২৬টি। অন্যদিকে বাম কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল- এর মহাজোট পেয়েছে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪৫৮টি ভােট অর্থাৎ অত্যন্ত কম মার্জিনে হেরেছে মহাজোট।
Advertisement
এক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানাচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাদের মতে, ৭০ টি আসনে থেকে লড়াই করলেও কংগ্রেস আশানুরূপ ফল করতে পারেননি অধিকাংশ আসনেই। আর এর প্রভাব পড়েছে জোটের সামগ্রিক ফলাফলের ওপর। এমনকি সামান্য উনিশ বিশ হলেই বিহার বিজেপির হাতছাড়া হত এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
Advertisement
আরও একটি উল্লেখযােগ্য বিষয়, চলতি বছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সামনে উঠে এসেছে তেজস্বী যাদব এর আরজেডি একদিকে আরজেডি পেয়েছে ৭৫ টি আসন অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছে ৭৪ টি আসন।
কিন্তু আসনের নিরিখে একটি আসনের ফারাক হলেও ভােটের দিকে কিন্তু অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে তেজস্বী যাদবের দল। একদিকে যেখানে আরজেড়ি পেয়েছে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ ভােট সেখানে বিজেপি পেয়েছে ১৯.৫ শতাংশ ভােট। অর্থাৎ বলাই বাহুল্য বিজেপি সাফল্য নিয়ে উৎসবের আমেজে মজলেও বিহার নির্বাচনে অল্পের জন্য মসনদ দখলের লক্ষ্য থেকে ছিটকে গিয়েছে মহাজোট।
Advertisement



