একটি যুগের অবসান, ৯০ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেতা শন কনােরি । ঘুমের মধ্যেই চিরবিদায় নিলেন এই অভিনেতা। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। জীবনের শেষ সময় কাটিয়েছেন বাহামা দ্বীপপুঞ্জ। সেখানে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
অভিনেতার মৃত্যুতে শােকস্তব্ধ ভক্তকূল। জেমস বন্ডের ভূমিকায় সবথেকে প্রথম দেখা গিয়েছিল এই অভিনেতাকে। ইয়ান ফ্লেমিংয়ের চরিত্র জেমস বন্ডকে রুপােলি পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি। নেভার সে নেভার এগেইন, ডক্টর নাে সহ একের পর এক ছবিতে বন্ডের ভূমিকায় ছিলেন অভিনেতা শন কনােরি । এই ছবিগুলি বক্স অফিসে চুড়ান্ত সাফল্য পায়। বহু ফ্যানের কাছে এখনও তিনি রুপােলি পর্দার সেরা জেমস বন্ড।
Advertisement
এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শন কনােরি। তাঁর পরিবারের কেউই সিনেমা বা অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁর বাবা একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ফেরাতেই অল্প বয়সে কাজে যােগ দিয়েছিলেন কনােরি। এমনকি এডিনবার্গে তিনি দুধ বিক্রি করতেন। পরে অবশ্য নেভিতে যােগ দেন। এরপর লাইভ গার্ড, শ্রমিকসহ একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
Advertisement
এরপর পঞ্চাশের দশকের দিকে আচমকাই তাঁর পেশাগত জীবনে আসে আমূল পরিবর্তন। ১৯৫১ সালে তিনি একটি থিয়েটার গ্রুপের ব্যাকস্টেজে সহায়তার কাজ করতেন। সেই সুবাদে ১৯৫৪ সালে তিনি প্রথম একটি সুযােগ পান অভিনয় জগতে। তবে সেই চরিত্র খুবই ছােট ছিল। কিন্তু ততদিনে অভিনয় টানতে শুরু করেছেন শন কনােরিকে। লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন শব্দগুলি চুম্বকের মতাে আকর্ষণ করেছিল তাঁকে।
১৯৯৭ সালে সিনেমায় প্রথম তাঁকে একটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। এরপরেই বন্ড সিরিজে জেমস বন্ড চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে, যা কনােরির ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিল।
প্রসঙ্গত, তিনি ১৯৮৮ সালে আনটাচেবল ছবির জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসাবে একাডেমি পুরস্কার পান। এছাড়াও গােল্ডেন গ্লোব, বাফটা পুরস্কার পেয়েছেন এই কালজয়ী অভিনেতা। ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবে তাঁকে নাইটহুড সম্মান দেন।
Advertisement



