এসআইআর-এ শুনানিতে নাগরিকদের অযথা হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তা নিয়ে সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। শুনানি চলাকালীন বঙ্গে তিনদিনের সফরে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সল্টলেকে বিজেপির সদর দপ্তর থেকে হয়রানির অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়ে শাহ বলেছেন, ‘বেছে বেছে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব। আর সেই কারণেই এসআইআর হচ্ছে। কোনও মানুষ তো দূরের কথা, একটি পাখিও গলতে পারবে না। এমনভাবে কড়াভাবে কাজ করা হবে। অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর কাজ তৃণমূল সরকারে করেনি, পারেওনি। এটা একমাত্র পারে ভারতীয় জনতা পার্টি।‘
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের খসড়া তালিকায় প্রায় ৫৮ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। এই তালিকায় একজন বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গার নাম নেই বলে বারবার দাবি করেছে তৃণমূল। শাসক নেতাদের কণ্ঠে বারবার এই অভিযোগও শোনা গিয়েছে, সীমান্তে অনুপ্রবেশ আটকানোর দায়িত্ব বিএসএফের। আর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে।
Advertisement
মঙ্গলবার এর জবাবে শাহ বলেছেন, ‘সীমান্তে কাঁটাতার দিতে জমি প্রয়োজন। সেই জমি দিতে চায় না রাজ্য সরকার। বিএসএফকে যথাযথ পরিকাঠামো দিলে তবে তো তারা ঠিকমতো সীমান্ত রক্ষা করতে পারবে। জমি চেয়ে কেন্দ্র বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে চিঠি দিয়েছে, জমি পাওয়া যায়নি এখনও।‘ অনুপ্রবেশ শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশে সমস্যা বলে এদিন তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। এই সমস্যার নির্মূল না হলে বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। আর বিজেপি তা রুখে দিতে সক্ষম। তাঁর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, অনুপ্রবেশ ইস্যু ছাব্বিশের নির্বাচনের বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে।
Advertisement
Advertisement



