• facebook
  • twitter
Saturday, 27 December, 2025

কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়মেই নির্বাচনী দপ্তরে মিলবে প্রবেশাধিকার

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে কড়া নিরাপত্তা

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে প্রবেশের নিয়মে বড়সড় বদল আনতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এবার থেকে ওই দপ্তরে ঢুকতে হলে মানতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন। এতদিন যে পদ্ধতিতে প্রবেশাধিকার মিলত, তা আর কার্যকর থাকছে না। দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় দপ্তর ও মন্ত্রকে যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ম চলে, ঠিক সেই ব্যবস্থাই এবার কার্যকর হচ্ছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরেও।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কারা এই দপ্তরের নিয়মিত কর্মী, কারা নির্দিষ্ট কাজে প্রবেশাধিকার পাবেন, কাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে— সব কিছুই এবার ঠিক করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সংবাদমাধ্যমের যাতায়াত ও কাজের ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। সকলের জন্যই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কেউ এই দপ্তরে ঢুকতে পারবেন না। পাশাপাশি চালু করা হচ্ছে নতুন ধরনের পরিচয়পত্র বা ‘পাস’ ব্যবস্থা।

Advertisement

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই দপ্তরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এই বাহিনী মূলত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং দপ্তরের সামগ্রিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। বাড়ি থেকে বেরোনো থেকে শুরু করে ফের দপ্তরে প্রবেশ— প্রতিটি ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বলয় থাকবে। এমনকি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সফরের সময়েও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিনিধিরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিইও দপ্তরে বিএলওদের আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। সেই ঘটনার পর মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার কলকাতা পুলিশের নগরপালকে চিঠি দিয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। এরপরেই নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

রাজ্যের নির্বাচন ব্যবস্থার ইতিহাসে এই প্রথম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও তাঁর দপ্তরের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ফলে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও মনোজ কুমার আগরওয়াল স্পষ্ট করেছেন, নিয়ম কিছুটা কঠোর হলেও দপ্তরে আসা মানুষদের কাজকর্মে কোনও অসুবিধা হবে না।

এখন দেখার, এই কড়া নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করতে পারে।

Advertisement