• facebook
  • twitter
Thursday, 25 December, 2025

বড়দিনে মাতল হাওড়ার ‘মিনি পার্ক স্ট্রিট’

বাউড়িয়া শিল্পাঞ্চল হওয়ায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের নানা ধর্মের মানুষের বাস এই অঞ্চলে। সেই কারণে বাউড়িয়া ‘মিনি ভারত’ নামেও পরিচিত

নর্থ পয়েন্টি চার্চকে ঘিরে বড়দিনে সেজে ওঠে বাউড়িয়া। হাওড়া গ্রামীণের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই চার্চটি। প্রতি বছর বাউড়িয়ার সাধারণ মানুষ এই চার্চকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠে। পার্ক স্ট্রিট বা ব্যান্ডেল চার্চের মত আভিজাত্য না থাকলেও প্রাণের টান রয়েছে এই খানে। তার জন্য অনেকে একে ‘মিনি পার্ক স্ট্রিট’ বলেও সম্বোধন করেন। বাউড়িয়া শিল্পাঞ্চল হওয়ায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের নানা ধর্মের মানুষের বাস এই অঞ্চলে। সেই কারণে বাউড়িয়া ‘মিনি ভারত’ নামেও পরিচিত। এই এলাকায় অনেক খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বনী মানুষ বসবাস করেন। এলাকাটি উলুবেড়িয়া পুরসভার ছ’নম্বর ওয়ার্ডের অধীন। এখানকার কাউন্সিলার ডেভিড রাও নিজেও একজন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী।

আট বছর আগে ২০১৭ সালে বাউড়িয়া স্টেশনের কাছে পূর্ব বুড়িখালিতে ‘নর্থ পয়েন্টি কমিউনিটি ইন্ডিয়া’ নামে এই চার্চটি তৈরি হয়। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ এই চার্চ থেকে করা হয়ে থাকে। বড়দিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়। এই সময় জাতি-ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ চার্চে ঘুরতে আসেন। প্রভু যিশুর জন্মকাহিনি থেকে মৃত্যু এবং পুররুত্থানের ঘটনা মডেলের সাহায্যে সুন্দরভাবে চার্চে তুলে ধরা হয়েছে। চার্চের লাগায়ো বাউড়িয়ার বেনেকালী রোডের প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আলো দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।

Advertisement

‘নর্থ পয়েন্টি কমিউনিটি ইন্ডিয়া’ চার্চটির সভাপতি ডড্ডি সুদর্শন মূর্তি অন্ধ্রের বাসিন্দা। তাঁর পূর্ব পুরুষেরা কর্মসূত্রে বাউড়িয়ার এসেছিলেন। তবে তাঁর জন্ম এই খানেই। তিনি ২০১৬ সালে সমাজসেবার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা থেকে কমিশনিং পিস পুরস্কার পান। এ বছর বড়দিনে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান ছাড়াও, তিনদিন ধরে বছরের শেষ দিন পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠান থাকবে বলে জানিয়েছেন সভাপতি ডড্ডি সুদর্শন মূর্তি।

Advertisement

এই তিনদিন আলোচনা চক্রের পাশাপাশি থাকছে হস্তশিল্প, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির ও ফুড ফেস্টিভ্যাল। অতিথিদের হাতে কেক তুলে দেবে নর্থ পয়েন্টি কমিউনিটি ইন্ডিয়া চার্চের কর্তৃপক্ষ। সারা বছর ধরেই এখানে চলে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ। প্রায় ২৩ হাজার রোগী গত কয়েক বছরে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছেন। বাউড়িয়ায় অনেক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ থাকলেও শেষকৃত্য করার জন্য কোনও কবরস্থান নেই বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন সুদর্শন মূর্তি।

 

Advertisement