সংসদে সরব তৃণমূল, ‘সাদা কাগজ’ নিয়ে প্রতিবাদ

শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল তথা বিরোধীরা এসআইআর-সহ কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিবাদে সরব। মঙ্গলবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাংসদ চত্বর। অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ দেখান তৃণমূল তথা ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা। বাংলার মনীষীদের অসম্মান করার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা নীরব বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের হাতে ছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি। স্লোগান ছাড়া  চুপচাপ দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। বুধবারও প্রতিবাদের ধারা অব্যাহত। তবে এদিন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার বরাদ্দ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ না করায় প্রতিবাদ দেখানো হয়। বুধবার সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে মকর দ্বারের সামনে ‘সাদা কাগজ’ হাতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা।

আজ থেকে প্রায় ২১ মাস আগে শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ মাস পেরোনোর পরও কেন্দ্রের তরফে কোনও শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়নি। এবার সেই দাবি তুলে নতুন করে জোরালো প্রতিবাদের উদ্যোগ নিল তৃণমূল। শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি, তাই সাদা কাগজে কিছু না লিখেই প্রতিবাদ করা হয়।

Advertisement

সেই সঙ্গে স্লোগান ওঠে, ‘বাংলার বকেয়া কবে মেটানো হবে নরেন্দ্র মোদি জবাব দাও।’ লোকসভা-রাজ্যসভা সব সাংসদই ওই বিক্ষোভে যোগ দেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একুশ মাস আগে কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন। বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটার শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। আজও কোনও শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়নি। তাই আমরা আজ কেন্দ্রের এই নীরবতার প্রতিবাদ করছি।‘

তৃণমূলের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয় কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি। কংগ্রেসের এক সাংসদ এবং সমাজবাদী পার্টির এক সাংসদও তৃণমূলের সাংসদদের সঙ্গে সাময়িকভাবে যোগ দেন প্রতিবাদে। শাসকদলের বক্তব্য, তাঁদের দাবি যে বৈধ, সেটা অন্য বিরোধী দলগুলির সমর্থনেই স্পষ্ট। রাজ্যের বকেয়া ইস্যু নিয়ে সমাজবাদী পার্টি বা কংগ্রেস তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায়, এই ইস্যুর গুরুত্ব কতটা।

একশো দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য দুই লক্ষ কোটি টাকা, দাবি তৃণমূলের। রাজ্যে বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি বন্ধ। যা নিয়ে বারবার সুড় চড়িয়েছে তৃণমূল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সাদা কাগজ কালো হতে বেশিদিন সময় লাগবে। যে কোনও সরকারি প্রকল্পে ভূরি ভূরি দুর্নীতি। তার থেকে তৃণমূল কোনওদিন বেরিয়ে আসতে পারবে না।‘