সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক মাইকেল রুবিন। তাঁর মতে, ‘আমি বলতে চাই, যেভাবে রাশিয়া ও ভারতকে ডোনাল্ড ট্রাম্প কাছাকাছি এনেছেন, সেই কারণেই তাঁকে নোবেল দেওয়া যেতে পারে।’ তাঁর মতে আমেরিকা জুড়ে ট্রাম্পপন্থী ও ট্রাম্পবিরোধীরা সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করেন ভারত-রাশিয়া নৈকট্যের বিষয়ে।
Advertisement
রুবিন আরও জানিয়েছেন, ‘যদি আপনি ডোনাল্ড ট্রাম্প হন, তাহলে এটা ‘আমি তো তাই-ই বলেছিলাম’ এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন। কিন্তু আপনি যদি বাকি ৬৫ শতাংশ মার্কিন নাগরিকের মধ্যে পড়েন, যাঁরা ট্রাম্পকে পছন্দ করেন না, তাহলে আমরা বলতেই পারি যা ঘটেছে তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের চরম অযোগ্যতার কারণেই ঘটেছে।’ প্রাক্তন পেন্টাগন আধিকারিকের মতে, আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক এখন আগের থেকে একেবারে উলটো দিকে যাচ্ছে। তাঁর দাবি, পাকিস্তান, তুরস্ক এবং কাতারের তোষামোদ বা তথাকথিত ঘুষের প্রচেষ্টার দ্বারা প্রভাবিত হয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
রুবিন ভারতকে সমর্থনের সুরে জানিয়েছেন, ‘ভারত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীকে বেছেছে। তিনিই ভারতের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ভারত সবচেয়ে জনবহুল দেশ। দ্রুতই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। তাদের শক্তি প্রয়োজন। আমরা যদি না-ই চাই যে ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কিনুক, তাহলে আমরা ওদের কাছে সস্তায় জ্বালানি কেনার কী প্রস্তাব রেখেছি? যদি এর কোনও উত্তর না থাকে তাহলে আমাদের একদম চুপ করে যাওয়া উচিত। এটাই স্বাভাবিক ভারত তাদের নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দেবে।’
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে একঘরে করে দিতে সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিনান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে ভারত–রাশিয়া নিজেদের মুদ্রায় বাণিজ্য বাড়িয়েছে। পুতিন ঘোষণা করেছেন, দুই দেশের ৯৬% বাণিজ্যই এখন রুবেল ও রুপিতে হচ্ছে, ডলারের উপর নির্ভরতা কমানোই লক্ষ্য। এই অবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাড়তি ঘনিষ্ঠতাকে আমেরিকা ভালো চোখে দেখছে না। এই আবহে দেশের অভ্যন্তরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ‘একগুঁয়ে’ ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Advertisement



