• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ত্রুটি, পিছিয়ে গেল খালেদার লন্ডনযাত্রা

ভালো চিকিৎসার জন্য শুক্রবার তাঁকে লন্ডনে পাঠানোর কথা ছিল, জানা গিয়েছে রবিবারের আগে তাঁর রওনা হওয়া সম্ভব নয়

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ার পরিকল্পনা আবারও পিছিয়ে গেল। ভালো চিকিৎসার জন্য শুক্রবার তাঁকে লন্ডনে পাঠানোর কথা ছিল, জানা গিয়েছে রবিবারের আগে তাঁর রওনা হওয়া সম্ভব নয়। তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করবে কাতার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ঠিক আগে বিমানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ায় তা এখনও ঢাকায় পৌঁছতে পারেনি। ফলে খালেদার বিদেশযাত্রা আপাতত আরও পিছিয়ে গেল।

বিএনপি সূত্রে খবর, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সেটি ঢাকায় পৌঁছতে পারে শনিবার। এরপর সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে রবিবার খালেদা জিয়াকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে উড়তে পারে বিমানটি। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থার উপরই নির্ভর করবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। শরীর যদি বিদেশযাত্রার জন্য উপযোগী থাকে, তবেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রওনা দেবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।

Advertisement

খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনেই বসবাস করেন। অসুস্থ খালেদাকে নিতে তারেকের স্ত্রী ও চিকিৎসক জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন। তিনি বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে রওনা দিয়েছেন। ঢাকায় পৌঁছে হাসপাতালে খালেদার অবস্থা পর্যালোচনা করে তিনি লন্ডনে নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বিএনপি-র তরফে জানানো হয়েছে, কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সে কারণেই খালেদার বিদেশযাত্রা কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় খালেদা জিয়াকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। আগে থেকেই তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। বর্তামানে হৃদ্‌যন্ত্রে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ৮০ বছর বয়সি এই নেত্রীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।

দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি মেডিক্যাল বোর্ড তাঁর চিকিৎসায় চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, জুবাইদা রহমানও সেই বোর্ডের অংশ। সবার পরামর্শেই সিদ্ধান্ত হয়েছে—তাঁকে লন্ডনে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে। খালেদার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগে আছেন বিএনপি-র সমর্থকেরা। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও।

Advertisement