ব্যাংকক, ২১ নভেম্বর— বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স’-এ এ বার সেরার আসন দখল করলেন মেক্সিকোর প্রতিনিধি ফাতিমা বোস্। থাইল্যান্ডে আয়োজিত এক বর্ণময় মঞ্চে শুক্রবার রাতে তাঁকে সেরা বলে ঘোষণা করা হয়। রানার-আপ হয়েছেন আয়োজক দেশের প্রতিযোগী থাইল্যান্ডের রানী।
এই প্রতিযোগিতায় ভারতের মণিকা বিশ্বকর্মা ছিলেন অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। রাজস্থানের গঙ্গানগর থেকে উঠে আসা এই তরুণী আত্মবিশ্বাস ও সৌন্দর্যের নিরিখে দর্শকদের মন জয় করলেও তিনি টপ–১২–এর বেশি এগোতে পারলেন না। ফলে ২০২১ সালে হরনাজ সাঁধুর ঐতিহাসিক সাফল্যের পর ভারতের মুকুট জয়ের প্রতীক্ষার দিন আরও বাড়ল। তবে মণিকার জাতীয় পোশাক পর্ব বিশেষ নজর কাড়ে। সোনালি রঙের সেই পোশাক ও মাথার অলঙ্করণ তৈরি হয়েছিল বুদ্ধের বোধিলাভের ঐতিহাসিক মুহূর্তকে কেন্দ্র করে। দর্শক-আয়োজক— সবাই প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তাঁকে।
Advertisement
প্রসঙ্গত, এই প্রতিযোগিতায় এ বার অংশ নেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১০০–রও বেশি প্রতিযোগী। সপ্তাহ জুড়ে সাক্ষাৎকার, পোশাক প্রদর্শন, জাতীয় পোষাক এবং মঞ্চের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে লড়াই চলে। এ বার প্রতিযোগিতার মূল স্লোগান ছিল ‘ভালবাসার শক্তি’ — সমাজে সহমর্মিতা, নেতৃত্ব আর নারীর স্বাধীন অবস্থানকে তুলে ধরতেই এই বার্তা। আয়োজক সংস্থা জানায়, এই মঞ্চ আজ কেবল সৌন্দর্য উদ্যাপন নয়, সচেতনতা ও সামাজিক প্রভাব বিস্তারের এক আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম।
Advertisement
তবে জয়ের উচ্ছ্বাসের মধ্যেও বিতর্কের ছায়া ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিযোগিতার শেষ পর্বের আগেই দুইজন বিচারক পদত্যাগ করেন। ভোটাভুটি নিয়ে ‘অনিয়মের আশঙ্কা’ থেকেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত বলে খবর ছড়ায়। আয়োজক সংস্থা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, সকল বিচার ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার মধ্য দিয়েই হয়েছে।
ভারতীয় দর্শক ও সৌন্দর্যজগতের বিশেষজ্ঞদের আশা, মণিকার এই অভিজ্ঞতা আগামী দিনে ভারতের হয়ে আরও শক্তিশালী মুকুট লড়াইয়ের পথ প্রশস্ত করবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪–এ সুস্মিতা সেন, ২০০০–এ লারা দত্ত এবং ২০২১–এ হরনাজ সাঁধুর পর ভারতীয়দের দৃষ্টি এখন ভবিষ্যতের দিকে নিবদ্ধ— দেশ আবার কবে চতুর্থ শিরোপা অর্জন করবে!
Advertisement



