দত্তাবাদের স্বর্ণকার খুনের ঘটনায় ধৃত ৩ অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করেছে বিধাননগর আদালত। এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঁদেরই মধ্যে ৩ জনকে এদিন আদালতে হাজির করানো হয়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের নীলদা পোস্ট অফিস এলাকার দিলমাটিয়া গ্রামে। যদিও তিনি থাকতেন দত্তাবাদে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, গত ২৮ অক্টোবর স্বপনকে তাঁর দত্তাবাদের সোনার দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। নিখোঁজ ডায়রি করা হয় বিধাননগর দক্ষিণ থানায়। পরে যাত্রাগাছি বাগজোলা খালপাড়ের ঝোপ থেকে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর রাজু ঢালি এবং তুফান থাপা নামে ২জনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার রাতে কোচবিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিবেকানন্দ ওরফে সোনাইকে। গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূল নেতা সজল সরকারকে। উল্লেখ্য, ধৃত বিবেকানন্দ সজল সরকারের গাড়ির চালক।
বৃহস্পতিবার বিবেকানন্দকে আদালতে হাজির করানো হয়। বিবেকানন্দকে ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাকি ২ ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে।
মৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে খুনের ঘটনায় জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের নামও উঠে আসছে। তিনি কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা। তবে তিনি কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন বলে দাবি করেছেন প্রশান্ত। বারাসত আদালতে তিনি আগাম জামিনের আবেদনও করেছেন।
অভিযুক্তদের আইনজীবী রাহুল রায় বর্মণ জানান, বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিচারকরা জানতে চান, ধৃত রাজু ও তুফানের সঙ্গে এই ঘটনার যোগ কোথায়। কিন্তু পুলিশের কাছে এর কোনও উত্তর মেলেনি। আদালতে শুধু একটি ভিডিও-র কথা বলা হয়।সেই ভিডিওতে অভিযুক্তদের দেখা গেলেও হিংসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি। অন্যদিকে বিবেকানন্দকেও আদালতে হাজির করিয়ে সরকারি আইনজীবী অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেন। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, সিজার লিস্টে তার কোনও উল্লেখ ছিল না।
Advertisement