• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কাশ্মীর টাইমসের দপ্তরে তল্লাশি, উদ্ধার হল একে-৪৭-এর কার্তুজ

পুলিশ মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে, পাল্টা অভিযোগ সংবাদপত্রের সম্পাদকের

চলতি মাসের ১০ তারিখ ভয়াবহ গাড়িবোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকা।  ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৩। জখম একাধিক।   এই গাড়িবোমা বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে দিল্লি থেকে শুরু করে কাশ্মীর পর্যন্ত হানা দিয়েছে এনআইএ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় ৭৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যক্তির বয়ান নথিভুক্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ‘দেশবিরোধী’ কাজকর্মে মদত দেওয়ার অভিযোগে সংবাদপত্র কাশ্মীর টাইমসের জম্মুর দপ্তরে হানা চালায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা (এসআইএ)।

এসআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, দপ্তরে তল্লাশি চালিয়ে একে-৪৭-এর কার্তুজ, পিস্তল রাউন্ডস, তিনটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। হিংসা ছড়ানো, বিচ্ছিন্নতাবাদকে মহিমান্বিত করা, ভারত এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতায় আঘাত হানার অভিযোগে ওই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে একটি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। এফআইআরে নাম রয়েছে কাশ্মীর টাইমসের কার্যনির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিনের।

Advertisement

পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে সংবাদপত্রের সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন জানিয়েছেন, পুলিশ আমাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি। তল্লাশির প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছে, সরকারের সমালোচনা করা মানেই দেশের বিরোধিতা করা নয়। কোনও অবৈধ অস্ত্র আমাদের অফিস থেকে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের অন্যতম পুরনো সংবাদপত্রের মধ্যে একটি হল কাশ্মীর টাইমস। ১৯৫৪ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসাবে এটি চালু করেছিলেন বেদ ভাসিন। ১৯৬৪ সালে দৈনিক হিসাবে পথ চলা শুরু করে কাশ্মীর টাইমস। সম্পাদক হন অনুরাধা ভাসিন।

অন্যদিকে, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ গ্রেপ্তার করেছে একের পর এক সন্দেহভাজন চিকিৎসককে। তদন্তে প্রথম বড় অগ্রগতি আসে কাশ্মীরের বাসিন্দা আমির রশিদ আলি-র গ্রেপ্তারির মধ্য দিয়ে। তাঁর নামেই ছিল বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন। এনআইএ-র দাবি, আত্মঘাতী হামলাকারী উমর নবি-র সঙ্গে মিলেমিশে হামলার ছক কষেছিলেন আমির। এই ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করল এনআইএ।

তাঁরা হলেন— ডা. মুজাম্মিল শেখিল গনাই (পুলওয়ামা, জম্মু ও কাশ্মীর), ডা. আদিল আহমেদ রাঠার (অনন্তনাগ, জম্মু ও কাশ্মীর), ডা. শাহিন সইদ (লখনউ, উত্তরপ্রদেশ), মুফতি ইরফান আহমদ ওয়াগে (সোপিয়ান, জম্মু ও কাশ্মীর)। এঁদের সকলকে পাটিয়ালা হাউস কোর্টে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। দিল্লি বিস্ফোরণের আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিস্ফোরকবাহী গাড়ির মালিক আমির রশিদ আলি, ঘটনায় প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানকারী জাসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিয়েলকে।

Advertisement