• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

লালকেল্লা বিস্ফোরণ নিয়ে শাহকে নিশানা ওয়েইসির

‘জঙ্গিদের শনাক্ত করতে না পারার দায় কার?’

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

অপারেশন ‘সিঁদুর’ ও ‘মহাদেব’ চলাকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, গত ছ’মাসে কোনও কাশ্মীরি যুবক জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেননি। সেই বক্তব্যকেই পাল্টা হাতিয়ার করে এ বার তীব্র আক্রমণ শানালেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁর সরাসরি প্রশ্ন, ‘যদি কোনও কাশ্মীরি তরুণ জঙ্গিদলে যোগ না দিয়ে থাকে, তা হলে লালকেল্লা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত এই দলটা হঠাৎ কোথা থেকে তৈরি হল? তাদের শনাক্ত করতে না পারার দায় কার ওপর পড়ে?’

ওয়েইসি শুধু এই প্রশ্নেই থামেননি। এদিন এক্স হ্যান্ডলে তিনি লালকেল্লা বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর মহম্মদ ওরফে উমর-উন-নবির ভিডিও নিয়েও মন্তব্য করেন। ভিডিওতে আত্মঘাতী হামলাকে ‘শহিদি অভিযান’ হিসেবে ন্যায্যতা দিতে দেখা গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ওয়েইসির বক্তব্য, ‘ইসলামে আত্মহত্যা হারাম। নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা মহাপাপ। এই কাজ শুধু ধর্মবিরোধীই নয়, দেশের আইনকেও চ্যালেঞ্জ করে। এগুলিকে কখনওই ভুল বোঝাবুঝি বলে চালানো যায় না— এটি স্পষ্ট এক সন্ত্রাসবাদ।’

Advertisement

এদিকে বিস্ফোরণকাণ্ডে নজর পড়েছে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনে ব্যাপক অনিয়মের হদিশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বুধবার সাকেত আদালত তাঁকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি শীতল চৌধুরী প্রধানের মন্তব্য, ‘অপরাধের গুরুত্ব এবং তদন্তের প্রাথমিক স্তর বিবেচনা করে অভিযুক্তকে ১৩ দিনের ইডি হেফাজত নেওয়া জরুরি বলে মনে করি।’

Advertisement

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালেই দিল্লি অফিসে অভিযান চালায় ইডি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ২৫টি জায়গায় তল্লাশি চলে। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় শেষমেশ গ্রেপ্তার হন সিদ্দিকি।

উল্লেখ্য, এই বিস্ফোরণের তদন্তে প্রতিদিনই নতুন তথ্য সামনে আসছে। লালকেল্লা বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা যেমন তীব্র হচ্ছে, তেমনই তদন্তকারী সংস্থার নজর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন সন্দেহজনক আর্থিক সংস্থার দিকেও নিবদ্ধ হচ্ছে।

Advertisement