প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার তামিলনাডুর কোয়েমবাটুরে এক বৃহৎ জনসভায় প্রধানমন্ত্রী-কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের ২১তম কিস্তি প্রদান করলেন। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা সভাস্থলে ভিড় জমাতে শুরু করেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠে প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার যে নানা প্রকল্প চালু করেছে, তার মূল ভিত্তি হল ‘কিষান সম্মান নিধি’ এবং এই প্রকল্পে নতুন কিস্তি যোগ হওয়ায় দেশে কোটি কোটি কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের ২১তম কিস্তির অর্থ সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে উপভোক্তা কৃষকদের কাছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষক দেশের মেরুদণ্ড। তাঁদের হাতে শক্তি তুলে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’ তিনি আরও দাবি করেন, কেন্দ্র কৃষকের উপর কোনও বোঝা বাড়াতে চায় না। বরং ‘নূন্যতম সহায়ক মূল্যের’ আওতা বৃদ্ধি, সেচ-পরিকাঠামো উন্নয়ন, বীজ-সার ভর্তুকি এবং ফসলবিমা— এই সব দিকেই জোর দিতে চায়।
Advertisement
কোয়েমবাটুরের জনসভায় মোদী জানান, গত কয়েক বছরে প্রকল্পটি দেশের গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘এতদিনে ২০টি কিস্তি বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২১তম কিস্তি যোগ হওয়ায় কৃষকদের পাশে ভারতের উন্নয়নের আরও একটি ধাপ তৈরি হল।’ সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ ভারতের কৃষকদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
Advertisement
এদিনের অনুষ্ঠান ঘিরে কোয়েমবাটুরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। প্রচুর পরিমাণে স্থানীয় কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানান, টাকাটা সরাসরি ব্যাঙ্কে পৌঁছে যাওয়া তাদের জন্য বড় সহায়তা। অনেকেই বলেন, ‘ফসল ওঠার আগে ছিটেফোঁটা যে সাহায্য পাই, তা দিয়ে বীজ, সার আর নানা কৃষিজ সামগ্রী কিনতে সুবিধে হয়।’
কেন্দ্রীয় কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পে তিন কিস্তিতে কৃষকদের বছরে মোট ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মোদী দাবি করেছেন, সময়মতো টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার আরও প্রযুক্তিগত সুবিধা যুক্ত করেছে এবং ভবিষ্যতে প্রকল্পকে আরও স্বচ্ছ ও দ্রুততর করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে নতুন কৃষি-পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনাও। তিনি জানান, কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়ানো, গ্রামীণ সড়ক ও বাজারসংযোগ উন্নত করা, এবং কৃষি-প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি আরও বড় পরিসরে গড়ে তোলার উদ্যোগ চলছে। কোয়েমবাটুরের সভা থেকে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য গ্রামীন ভারতের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো— তার পথেই এগোচ্ছে দেশ।’
Advertisement



