• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

হাসিনার বক্তব্য প্রকাশ করা যাবে না বাংলাদেশে, জারি নির্দেশনামা

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক করল সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সোমবার হাসিনাকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে বাংলাদেশ আদালত। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও। এবার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক করল সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রকাশ না করার ফরমান জারি করল সেই দেশের সরকার।

বাংলাদেশের জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে সেই দেশের সমস্ত গণমাধ্যমকে হাসিনার বক্তব্য প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অপরাধী’ এবং ‘পলাতক’ হাসিনার বক্তব্য হিংসায় প্ররোচনা দিতে পারে। হাসিনা বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে অপরাধমূলক কাজকর্ম বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলাদেশের সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে।

Advertisement

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,  জাতীয় সুরক্ষা, সম্প্রীতি ক্ষতি করে কিংবা ধর্ম বা জাতিগত বিদ্বেষে উস্কানি দেয়— এমন বিষয়বস্তুকে ‘ব্লক’ বা মুছে দেওয়া হবে। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে কিংবা অবৈধ ভাবে ঘৃণাভাষণ ছড়ালে দু’বছরের জেল কিংবা ১০ লক্ষ টাকা (বাংলাদেশের মুদ্রায়) পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

Advertisement

বাংলাদেশের জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এজেন্সি অবশ্য জানিয়েছে,  মতপ্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে জাতীয় সুরক্ষার প্রসঙ্গ টেনে আদতে ইউনূস সরকার গণমাধ্যমগুলির উপর নজরদারি চালাতে চাইছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর আগে গত আগস্ট মাসেও অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনা বক্তব্য যাতে কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে আইি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। সেই সময়ও ঠিক একই কথা বলা হয়েছিল।

বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলি যদি ফৌজদারি অপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত পলাতক আসামি তথা ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার করে, তবে তা ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করা হবে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সংবাদসংস্থা এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন হাসিনা। তা নিয়েও নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল ইউনূস সরকার। এমনকি এই বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানাতে বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক গত বুধবার তলব করেছিল বাংলাদেশে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন ভাদেকে।

Advertisement