ইডেন উদ্যানে রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে যে দুরন্ত জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সেই জয় দেখে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন, এটা অঘটন। নিশ্চয়ই নয়। আসলে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের অদম্য লড়াই করার ক্ষমতা এবং চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জয় কীভাবে তুলে নিতে হয়, তার পরিচয়। কারা যেন বলেছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা কোনওভাবেই ভারতের স্পিনারদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবেন না। হয়তো নিভৃতে এই কথা শুনেছিলেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। আর বাভুমা সঙ্গে সঙ্গেই কোচ কনকারডের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। হয়তো ঠিক ওই সময় কোচ ও অধিনায়ক গোপন অঙ্ক কষে ভারতের স্পিনারদের মতো নিজের দলের স্পিনাররা ইডেন উদ্যানে পাল্টা আঘাত হানবে, অর্থাৎ ভারতের কথা বুমেরাং হয়ে যাবে। সত্যিই তাই হল। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, বেশ কয়েকজন স্পিনারকে নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করার একটা প্রবণতা আমাদের মধ্যে ছিল প্রথম থেকেই।
সেই কারণেই দলের খেলোয়াড়দের মানসিক পরিবর্তনটা এসেছে। ক্রিকেট আরও বেশি চমক দিয়ে থাকে। সেই চমক ইডেন উদ্যানে দেখিয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। কোচ বলেন, প্রথম থেকেই দলে হারমারকে দলে রাখার চেষ্টা করেছি। আমি জানতাম, হারমার বিপক্ষ দলকে চাপে ফেলে দিতে পারবেন। তারপরে অধিনায়কের মনোবলকে শক্ত করার জন্য নানাভাবে পরামর্শ দিয়েছেন। অধিনায়ক বাভুমা দেখিয়ে দিয়েছেন, দলের জয় কীভাবে আনতে হয় একটা কঠিন সময়ে।
Advertisement
হারমারকে নিয়ে কনরাড বলেছেন, ‘কয়েক মাস আগে ও আমাকে বলেছিল, আবার দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে চায়। আমিও হারমারকে দলে নিতে মরিয়া ছিলাম। ও ফিরে আসায় আমাদের স্পিন বোলিংয়ে শক্তি বেড়েছে। এখানে তো দুর্দান্ত বল করল।’ দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মনে করেন, রবিবার সকালে বাভুমা এবং করবিন বসের জুটিই দু’দলের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছে।
Advertisement
সিরিজ়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে গুয়াহাটিতে খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমাদের সিরিজ় হারের সম্ভাবনা নেই আর। আত্মবিশ্বাসী কনরাড বলেছেন, ‘গুয়াহাটির পিচে হয়তো অন্য রকম চ্যালেঞ্জ থাকবে। ওখানেও ভাল ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত এবং আত্মবিশ্বাসী।’
আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ শুরু হচ্ছে গুয়াহাটিতে। চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে, এই টেস্টে ভারতের অধিনায়ক শুভমন গিল ঘাড়ে চোট পান কলকাতার ইডেন উদ্যানে। মাঠ থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গত রবিবার রাতে শুভমনকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিলেও বোর্ড কর্মকর্তারা দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Advertisement



