• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

ক্ষমতায় ফেরার জন্য ট্রাম্প সাহায্য চেয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্টের

শি জিন পিং-এর সাহায্য চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনই অভিযোগ করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন। (Photo: IANS)

চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর সাহায্য চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনের প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্প বলেছিলেন, যদি আরও বেশি করে বেজিং মার্কিন কৃষিপণ্য কেনে তাহলে তার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসতে অনেক সুবিধা হবে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন।

মার্কিনমুলুকে ভোট রয়েছে। তার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রকাশিত বই ‘দ্য রুম হোয়ার ইট হ্যাপেন্ড’-এ। মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই খবর সামনে এনেছে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প জমানার প্রবীণতম কোনও সরকারি কর্তা যিনি তাঁর লেখা বইতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার কাজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।

Advertisement

তাঁর এই বই নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল শুরু হয়েছে। যদিও বইটি এখনও বাজারে আসেনি। এই বইটি আটকে দেওয়ার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ, মন্ত্রগুপ্তি লংঘন করার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে এই বইতে। সে কারণে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহে বইটি বেরোনোর কথা।

Advertisement

গত বছর ওসাকায় জি-২০ গোষ্ঠীর বৈঠকের ফাঁকে আলাদ ভাবে ট্রাম্প চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই সময় চিনা প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্প বারবার বলেন, তাঁকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য চিন সাহায্য করুক। এবং আরও বেশি করে মার্কিন কৃষিপণ্য তারা কিনুক।

এই প্রাক্তন আমলা তার বইতে লিখেছেন, সেদিন সত্যিই বোঝা যায়নি কোন স্বার্থটা ট্রাম্পের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের না নিজের। হোয়াইট হাউসে থাকার সময় ট্রাম্পকে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে দেখিনি, যাতে তার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হয়। বুধবার ওয়াশিংটনে ফেডারেল জজের আদালতে দ্বারস্থ হয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বইটি প্রকাশ যাতে বন্ধ থাকে তার জন্য আর্জি জানিয়েছে।

কিন্তু, বইটির একটি কপি সামনে চলে আসায় খবর বেরিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টেও। সব মিলিয়ে তিনটি দৈনিকে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। যদিও বুধবার রাতেই ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প সাফ বলেছেন, বল্টন আই ভেঙেছেন। যতরকম ভাবে আই ভাঙা যায়। তখন ওকে কেউ চিনত না, যখন ওকে প্রশাসনে এনেছিলাম।

এদিকে, হোয়াইট হাউসের তরফে প্রেস সেক্রেটারি কেলি ম্যাকানি বলেছেন, সরকারি তথ্য সবসময় গোপন রাখাই উচিত। কিন্তু এই বইটিতে সেই গোপনীয় তথ্যই ভরা রয়েছে। এই প্রাক্তন আমলা তার বইতে আরও উল্লেখ করেছেন, কোনও নীতি বা মতাদর্শের ওপর ভিত্তি করে ট্রাম্প প্রশাসন চলে না। চলে না কোনও মহৎ কৌশলেও। যখন যেটা মর্জি হয় ট্রাম্পের, শুধু সেটাই চলে। এদিন অবশ্য সেনেটে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে মার্কিন প্রশাসনের বাণিজ্য প্রতিনিধি এই প্রাক্তন আমলার বইয়ের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

Advertisement