• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কলকাতার জলজট নিরসনে পুরসভার নতুন উদ্যোগ

নদীতে জোয়ার থাকলেও জমা জল পাম্পের সাহায্যে তুলে দেওয়া যাবে নদীতে। বর্তমানে কলকাতায় ছ’টি লিফটিং স্টেশন রয়েছে।

প্রতিবছর বর্ষার মরসুম এলেই কলকাতার রাস্তায় জলজট শহরবাসীর নিত্য সঙ্গী। কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টি মানেই তলিয়ে যায় একের পর এক এলাকা। এবার সেই সমস্যা স্থায়ীভাবে মোকাবিলা করতে বিশেষ পরিকল্পনা নিল কলকাতা পুরসভা। শহরজুড়ে গড়ে তোলা হবে একাধিক লিফটিং পাম্পিং স্টেশন। যাতে লকগেট বন্ধ থাকলেও দ্রুত জল সরানো যায়।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে মাত্র তিন ঘণ্টায় ৩২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। পুরসভার দাবি, সেই বিপুল পরিমাণ বৃষ্টির প্রায় ৮০ শতাংশ জল আট থেকে ন’ঘণ্টার মধ্যেই সরানো গিয়েছিল। তবে সংযোজিত এলাকার জল সরাতে আরও বেশি সময় লেগেছিল। কারণ সেই সময় হুগলি নদীতে জোয়ার থাকায় লকগেট তিন ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হয়েছিল।

Advertisement

নিকাশি বিভাগের এক আধিকারিক জানান, ‘লকগেট খোলা থাকলে প্রায় ১৭৫ মিলিমিটার জল সরানো যেত। কিন্তু জোয়ারের সময় নিয়ম মেনে লকগেট বন্ধ রাখা বাধ্যতামূলক।’

Advertisement

এই কারণেই পুরসভা শহরের চারপাশে লিফটিং পাম্পিং স্টেশন বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে নদীতে জোয়ার থাকলেও জমা জল পাম্পের সাহায্যে তুলে দেওয়া যাবে নদীতে। বর্তমানে কলকাতায় ছ’টি লিফটিং স্টেশন রয়েছে। নিমতলা ঘাটে একটি, ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যানেল রোডে একটি এবং কুঁদঘাটে চারটি। এবার চড়িয়াল খাল, সুতি, বিদ্যাধরী, বাগজোলা, টালি নালা এবং বোট ক্যানেল এলাকার সংযোগস্থলে আরও কয়েকটি নতুন লিফটিং স্টেশন তৈরি হবে ।

নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বৃষ্টির জল সরানোর গতি বহুগুণে বাড়বে। মেয়র ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন।’

২৩ সেপ্টেম্বরের জলাবদ্ধতার ঘটনার পরে পুরসভার নিকাশি বিভাগ কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে। এরপরই শুরু হয় বিকল্প ভাবনা। পুরসভার কর্তাদের মতে, এই লিফটিং পাম্পিং স্টেশনই শহরকে জলজটমুক্ত করার সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে।

Advertisement