গৃহিনী হন বা চাকরিজীবী। সকলের কাছেই সময়ের বড়ই অভাব। বেশিরভাগ মানুষের কাছে ঠিকমত খাওয়ার বা পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়ার সময় নেই। প্রতিনিয়ত দৌড়োচ্ছেন ভবিষ্যতের দিকে। এই কারণে অল্প সময়ের মধ্যে সবকিছু কাজ করতে তাঁরা অভ্যস্ত বা বাধ্য বলা যায়। খাবারের ক্ষেত্রে তো আবার আমরা অনেকেই আজকাল একদিন রেঁধে দু’দিন খেতে অভ্যস্ত। তাই বাধ্য হয়ে খাবার রেঁধে ফ্রিজে রেখে দিতেই হয়। না হলে খারাপ হয়ে যাবে। তারপর যখন তা খাওয়ার জন্য বের করা হয় তা থাকে বরফের মত ঠান্ডা। অগ্যতা গরম করতেই হবে। অনেকে আবার সময় বাঁচাতে ঠান্ডা খাবারও খেয়ে নেন।
কিন্তু জেনে রাখুন, আগের রেখে দেওয়া খাবার ঠান্ডা অবস্থাতেই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একদম ভালো নয়। পাশাপাশি ঠান্ডা খাবার হজম করার জন্য শরীরকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যা শরীরের বেশি শক্তি খরচ করে। ফলস্বরূপ, পুষ্টি সঠিকভাবে শোষণ করতে পারে না। তা ছাড়া, অনেক ঠান্ডা খাবার প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং পুষ্টির অভাব থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
Advertisement
অন্যদিকে, এতদিন একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, কিছু খাবার ও পানীয় গরম করে খেলে তা শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হয় ফের গরম করা খাবারে। কিন্তু এবার একটা স্বস্তির খবর শোনাই।ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনের একটি গবেষণা অনুসারে, বেশ কিছু খাবার একাধিক বার গরম করলেও তা শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। বরং তা শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তাহলে জানা যাক, কোন ধরণের খাবার ফের গরম করে খেলে কী কী উপকারিতা পাওয়া যায়।
Advertisement
আপনি যদি পছন্দের গরম পানীয় ফের গরম করে পান করেন বা তার সঙ্গে গরম জল পান করেন তাহলে তা কেবল স্বাদই বাড়ায় না বরং মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, গরম করা পানীয় উত্তেজনা, চাপ এবং হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। সংক্ষেপে, চা, কফি বা অন্য কোনও গরম পানীয়ের সঙ্গে গরম জল পান করলে যে কারও মন ভাল হয়ে যেতে পারে। সঙ্গে হজমের ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে।
সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দেখেছেন যে, খাবার ও পানীয়ের তাপমাত্রা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০০ জনেরও বেশি মানুষের উপর করা এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যারা বেশি ঠান্ডা খাবার খান তাদের মানসিক চাপ এবং অনিদ্রায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি। এদিকে, শীতকালে যারা গরম পানীয় গ্রহণ করেন তাদের এই ধরনের সমস্যা কম হয়। এটি ইঙ্গিত দেয় যে গরম খাবার এবং পানীয়ের মানসিক এবং শারীরিক প্রভাব রয়েছে।
Advertisement



