• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

দীপাবলি মিটতেই ‘অত্যন্ত খারাপ’ দিল্লির বাতাসের গুণগত মান

দিল্লির ৩৮টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একিউআই ৩০০-র উপরে ছিল

এক ধাক্কায় ‘অত্যন্ত খারাপ’ পর্যায়ে নেমে গিয়েছে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান৷ দীপাবলির সকালেই দিল্লি জুড়ে একিউআই ভয়ানক খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড তথা সিপিসিবি-র তথ্যানুযায়ী, সোমবার সকালে রাজধানীর বাতাসের গুণমান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স তথা একিউআই গড়ে ৩৩৫ রেকর্ড করা হয়। দিল্লির ৩৮টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একিউআই ৩০০-র উপরে ছিল। কোথাও কোথাও দিল্লির বাতাসের বিষ ৪০০-র বিপদসীমাও পেরিয়ে যায়।

নানা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রবিবার রাজধানীতে রাতভর ছিল শব্দবাজির দাপাদাপি। তার জেরেই দিল্লি জুড়ে একিউআই  ‘অত্যন্ত খারাপ ‘ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সোমবার সকালে আনন্দ বিহারের একিউআই ছিল ৪১৪। ওয়াজিরপুরে বাতাসে দুষণের পরিমাণ ৪০৭ এ পৌঁছে যায়। এছাড়াও গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদ-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে একিউআই ছিল ৩০০-র বেশি।

Advertisement

দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা এমনতিই বেশি। তার উপর বাড়তি দূষণের কথা মাথায় রেখে দীপাবলিতে শর্তসাপেক্ষে সবুজ আতসবাজিতে ছাড়পত্র দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লিতে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত সকাল ৬টা থেকে ৭টা এবং রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সবুজ বাজি পোড়ানো যাবে। দিওয়ালি উপলক্ষে শনিবার থেকেই বাজি পোড়ানোর অনুমতি ছিল। শনিবার সারাদিন এবং রাতেও বাজি পোড়ায় শহরবাসী। তাতেই বাতাসে দুষণের মাত্রা অত্যন্ত খারাপে পৌঁছে যায়।  

Advertisement

উল্লেখ্য, রাজধানীর বাতাসের গুণমান ‘অত্যন্ত খারাপ’ এ পৌঁছতেই জিআরএপি-২ চালু করেছে ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ । জিআরএপি-২ কার্যকর থাকাকালীন রাস্তায় জল ছিটানো হয়ে থাকে। জেনারেটরের ব্যবহার কমাতে বিদ্যুতের জোগান বাড়ানো হয়। নাগরিকদের নিজের গাড়ির ব্যবহার কমাতে পার্কিংয়ের ভাড়াও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও পরিবেশবিদরা প্রশ্ন তুলছেন, সবুজ বাজিতে কীভাবে এতখানি দূষণ হতে পারে ? এক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

বাতাসের গুণমান সূচক বা একিউআই শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে হলে তা ‘ভাল’ বলে ধরে নেওয়া হয়। গুণমান সূচক ৫১ থেকে ১০০ হলে তা ‘সন্তোষজনক’ বলে ধরা হয়। একিউআই ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচিত হয়। আর গুণমান সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ হলে ‘খুব খারাপ’, ৪০১ থেকে ৪৫০ ‘ভয়ানক’ এবং ৪৫০-এর বেশি হলে ‘অতি ভয়ানক’ বলে গণ্য করা হয়ে থাকে।

Advertisement